Breaking News

বন্যা ও জার্মানি যেভাবে

পরিখা ছাড়া জার্মানির উত্তর সাগর উপকূলে মানুষের বসতি সম্ভব ছিল না৷ বন্যার সময় এই পরিখা সেখানকার ভূমিকে শুষ্ক রাখে এবং ভয়াবহ ঝড় থেকে মানুষ ও প্রাণীকে রক্ষা করে৷

পরিখা তৈরিতে সবার অংশগ্রহণ

পরিখা নির্মাণ এমন একটা কাজ, যেখানে সবার অংশগ্রহণ জরুরি৷ মধ্যযুগে পরিখা সংক্রান্ত দায়িত্বে যে অবহেলা করত, তাকে কঠোর শাস্তি দেয়া হতো৷ পরিখা খননে কীভাবে মানুষকে বাধ্য করা হতো অটেনডর্ফের এই ভাস্কর্যটি তার একটা প্রমাণ৷ শত শত বছর ধরে উপকূলীয় এলাকার মানুষই এ কাজ করে যাচ্ছে৷

41258731_303

১৯৬২ সালে বন্যা

১৯৬২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জার্মানির উপকূলীয় এলাকাগুলোতে, বিশেষ করে হামবুর্গে বন্যা দেখা দেয়৷ দুই দিনের বন্যায় ৬০ হাজার ঘর বিধ্বস্ত হয়৷ কেবল হামবুর্গেই মারা যায় ৩১৫ জন৷

41258413_303

শ্কফভের্ক

পূর্ব ফ্রিজিয়ায় পুরোনো ধরনের পানি সেচ পদ্ধতি৷ এর মাধ্যমে অভ্যন্তরে প্রবেশ করা পানি পাম্প করে বের করে দেয়া হয়৷ পরিখায় পানির উচ্চতা অনেক উপরে উঠে গেলেও এই ব্যবস্থা কাজ করে৷

41258863_303

পরিখা পরিদর্শন

পরিখা নির্মাণ সাধারণ অধিবাসীদের অর্থায়ন ও সহযোগিতায় হয়ে থাকে, তারাই এ নির্মাণকাজের চেয়ারপার্সন ঠিক করেন৷ ঊনবিংশ শতাব্দীতে ঘোড়ায় চড়ে নিয়মিত পরিখা পরিদর্শন করতেন দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা৷

41258560_303

শত বছর আগে পরিখা নির্মাণ

এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, নর্থ ফ্রিজিয়ান ক্লানব্যুলে পরিখা নির্মাণে কাজ করছেন শ্রমিকরা, যদিও তাঁদের চেনা খুবই কষ্টকর৷

41258560_303

যখন পানির তোড় আসে

২০১৩ সালের ১০ই জুনের ছবি এটি৷ স্যাক্সনি আনহাল্ট রাজ্যে এলবে নদীর পানি বেড়ে প্লাবিত হয় ফিশবেক গ্রাম৷ যে ভাঙা বাঁধের কারণে গ্রামটি প্লাবিত হয়, সেটা পুনর্নিমাণ শুরু হয় এরপর৷

41258494_303

কখনো কখনো সেনাবাহিনীর প্রয়োজন হয়

প্রচণ্ড ঝড়ের কারণে সাগরে উত্তাল ঢেউ দেখা দিলে সেনাবাহিনীর সদস্যরা বালির বস্তা নিয়ে কাজে লেগে পড়েন৷ শত শত বালির বস্তা দিয়ে পানি আটকানোর চেষ্টা করেন তাঁরা৷

41258812_303

ডির্ক কাওফমান/এপিবি

About admin

Check Also

কিউশুতে ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকায় দুর্যোগের সম্ভাবনা নিয়ে উদ্বেগ বৃদ্ধি পাচ্ছে

 জাপানের কিউশুতে বুধবার প্রচণ্ড বৃষ্টিপাত আবারও আঘাত হানছে। অব্যাহত বৃষ্টিপাত ভূমির উপরিভাগ আলগা করে দেয়ায় …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *