Breaking News

রিও অলিম্পিকের জমকালো উদ্বোধন

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের জন্য বাজেট বরাদ্দও ছিল কম। এরপরও সাম্বা, বোসা নোভা আর ফাংকের তালে ব্রাজিলের ঐতিহ্য, রেইনফরেস্ট আর বৈচিত্র্যপূর্ণ জনগোষ্ঠীর উপস্থাপন হলো মারাকানা স্টেডিয়ামে। আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রীড়া উৎসবের। রিও দে জেনেইরোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিল না ২০০৮ সালের বেইজিং আর ২০১২ সালের লন্ডন অলিম্পিকের মতো আধুনিক প্রযুক্তির ছড়াছড়ি। ব্যয়বহুল প্রযুক্তির কম ব্যবহার করে আয়োজকরা ভরসা করেছেন ব্রাজিলের মেধাবী শিল্পী আর কার্নিভাল সংস্কৃতির উপর।

বাংলাদেশ সময় ভোর ৫ টায় নাচ দিয়ে শুরু হয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। এরপর কোরিওগ্রাফে তুলে ধরা হয় ব্রাজিলের রেইনফরেস্ট আর আদিবাসী জনগোষ্ঠীকে। তুলে ধরা হয় প্রায় ৫ শতাব্দী আগে ইউরোপীয়রা পা রাখার পর থেকে ব্রাজিলের পথচলা। ব্রাজিল বিশ্বের প্রায় ৩০০ কোটি টিভি দর্শককে আহ্বান জানাল পৃথিবীর যত্ন নিতে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় রেইনফরেস্ট আমাজন রক্ষায়ও আহ্বান এল। এক দফা আতশবাজির উৎসবের পর মাঠে আসেন অ্যাথলেটরা। ২০৭টি দলের অ্যাথলেট প্যারেডে সবার আগে আসে অলিম্পিকের সূতিকাগার গ্রিস। এরপর বর্ণানুক্রম অনুযায়ী সবার আগে আসে আফগানিস্তান। সবার শেষে ব্রাজিল। স্বাগতিকদের আগে ২০৬ নম্বর দল হিসেবে আসে উদ্বাস্তুদের দল। গৃহ থেকে উচ্ছেদ হওয়া এই অ্যাথলেটরা খেলছেন অলিম্পিক পতাকা নিয়ে।

বাংলাদেশের পতাকা ছিল অলিম্পিকে সরাসরি অংশ নেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করা প্রথম বাংলাদেশি সিদ্দিকুরের হাতে। গলফে পদকের জন্য লড়বেন তিনি। ব্রাজিলের অন্তর্বতীকালীন প্রেসিডেন্ট মিশেল তেমার দক্ষিণ আমেরিকার মাটিতে প্রথম অলিম্পিকের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। কিন্তু তার বক্তব্যের সময় দর্শকদের কিছু অংশ থেকে দুয়োধ্বনিও শোনা গেল। অলিম্পিক মশাল স্টেডিয়ামে বহন করে আনেন ব্রাজিলের সাবেক টেনিস খেলোয়াড় তিন বারের ফরাসি ওপেন জয়ী গুস্তাভো কুয়ের্তেন। অলিম্পিকের মূল মশালটা প্রজ্জলিত করেন ম্যারাথন দৌড়বিদ ভানদেরলেই দি লিমা। আয়োজকরা আশা করছেন, অলিম্পিক উপলক্ষে আসবেন ৫ লাখেরও বেশি পর্যটক। তবে উদ্বোধনের আগের দিন পর্যন্ত মোট ৭৫ লাখ টিকেটের মধ্যে ১০ লাখেরও বেশি টিকেট অবিক্রিত রয়ে গেছে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জঙ্গি হামলার পরিপ্রেক্ষিতে অলিম্পিকে নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। অলিম্পিকের বিভিন্ন ভেন্যু, অলিম্পিক ভিলেজ, বিমানবন্দর ও প্রধান সড়কগুলোতে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে প্রায় ৫৫টি দেশের ৮৫ হাজার নিরাপত্তাকর্মী, যা লন্ডনে ২০১২ অলিম্পিকের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। অর্থনৈতিক মন্দা আর রাজনৈতিক সংকটের মধ্যেই ব্রাজিলে হচ্ছে অলিম্পিক। বুধবার রিওতে অলিম্পিক মশাল পৌঁছানোর অনুষ্ঠানেও হয়েছে বিক্ষোভ। আছে জিকা ভাইরাসেরও হুমকি, যে জন্য ব্রাজিলে আসেননি বেশ কিছু তারকা অ্যাথলেট। অনেক সমস্যা মাথায় নিয়েও পাহাড়ে হাত বাড়িয়ে থাকা ক্রাইস্ট দ্য রিডিমারের মতো রিও দে জেনেইরোও উৎসবে যোগ দিতে স্বাগত জানাচ্ছে বিশ্ববাসীকে।

About admin

Check Also

১৫ই আগষ্ট আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন জাপানি নভোচারী ফুরুকাওয়া

জাপানের নভোচারী ফুরুকাওয়া সাতোশির দ্রুত হলে ১৫ই আগষ্ট আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে দ্বিতীয় ভ্রমণ নির্ধারণ করা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *