Breaking News

১৪ বছরে পারদ চড়বে ১৪ ডিগ্রি (ফারেনহাইট)

অনলাইন ডেস্ক: অনুমান সত্যি হলে…সব বরফ যাবে গলে। দেখা দেবে খাদ্য ঘাটতি। মানুষের জন্য বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়বে বেশ কিছু অঞ্চল। সমূলে বিলীন হয়ে যাবে উদ্ভিদরাজি ও প্রাণিকূলের বহু জাতি। যে হারে জীবাশ্ম জ্বালানি পুড়াচ্ছে মানুষ, ২০৩০ সালের মধ্যে সব জ্বালানীই ফুরিয়ে যেতে পারে। ফলে বাতাসে যোগ হবে পাঁচ লাখ কোটি টন বাড়তি কার্বন। আর একারণে পরবর্তী ১৪ বছরে বিশ্বব্যাপী গড় তাপমাত্রা বেড়ে যাবে ১৪.৪ ডিগ্রি, ফারেনহাইট স্কেলে। সেলসিয়াস স্কেলে যা ৮ ডিগ্রি। এমনটাই দাবি করেছেন কানাডার গবেষকরা। তারা আরও বলছেন, উত্তর মেরুতে একই সময় তাপমাত্রার পারদ চড়বে আরও বেশি, প্রায় ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা ৩০.৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট।

আগের গবেষণাগুলোর চেয়ে এই গবেষণার সিদ্ধান্ত ‘কয়েক গুণে গরম’। নেচার ক্লাইসেট চেঞ্জ জার্নালের অনলাইন সংস্করণে ২৩ মে ২০১৬ প্রকাশিত হয়েছে এ সংক্রান্ত গবেষকদের প্রবন্ধ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই গবেষণা যদি সত্যি হয়, তাহলে ত্রিশ সালে গ্রিন হাউজ গ্যাস পৃথিবীকে এমন একটা এলাকায় পরিণত করবে যেখানে খাবারের সংকট পড়বে। মানুষের জন্য বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়বে বেশ কিছু অঞ্চল। সমূলে বিলীন হয়ে যাবে উদ্ভিদরাজি ও প্রাণিকূলের বহু জাতি।

যেমনটা অনুমান করছেন মাইলেস অ্যালেন। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এই বিশেষজ্ঞ অবশ্য এই গবেষণায় সম্পৃত্ত নন। তবে পরিবেশে ক্রমবর্ধিষ্ণু কার্বনের কী প্রভাবÑ এ নিয়ে বিশদ কাজ করেছেন তিনি। ব্রিটিশ এই জলবায়ু বিশারদ মনে করেন, ‘পৃথিবীটা পুরো বরফে ঢাকা অচেনা এক জগতে রূপ নেবে।’

তথ্যসূত্র : ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক।

About admin

Check Also

কিউশুতে ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকায় দুর্যোগের সম্ভাবনা নিয়ে উদ্বেগ বৃদ্ধি পাচ্ছে

 জাপানের কিউশুতে বুধবার প্রচণ্ড বৃষ্টিপাত আবারও আঘাত হানছে। অব্যাহত বৃষ্টিপাত ভূমির উপরিভাগ আলগা করে দেয়ায় …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *