উত্তর কোরিয়ার পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচীর জবাব কিভাবে দেয়া দরকার সেই প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে মতপার্থক্য বজায় আছে। বেইজিংয়ের প্রতি পিয়ংইয়াংয়ের উপর আরও বেশী চাপ প্রয়োগের আহ্বান ওয়াশিংটন জানিয়ে গেলেও চীন দ্রুত একটি সংলাপ পুনরায় শুরু করার অনুরোধ জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীন গতকাল ওয়াশিংটনে তাদের মধ্যেকার প্রথম কূটনৈতিক ও নিরাপত্তা সংলাপ বৈঠকে মিলিত হয়েছিল। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী জিম ম্যাটিস চীনের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা ইয়াং জিয়েচি এবং চীনের সামরিক বাহিনীর জয়েন্ট স্টাফ বিভাগের প্রধান জেনারেল ফাং ফেং-হুইএর সাথে সাক্ষাৎ করেন।
আলোচনার পর এক সংবাদ সম্মেলনে মি: টিলারসন উত্তর কোরিয়ার পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচীর জন্য অর্থায়ন বন্ধের আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার উল্লেখ করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্র একই সাথে চীনের কোম্পানির উত্তর কোরিয়ার প্রতিষ্ঠানের সাথে অবৈধ লেনদেন চালানো বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান চীনের প্রতি জানায়। যুক্তরাষ্ট্র আরও উল্লেখ করে যে পিয়ংইয়াংয়ের উপর আরও বেশী কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে চীনের দায়িত্ব।
চীনা পক্ষ কোন সংবাদ সম্মেলন করেনি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি মন্তব্য প্রচার করেছে।
এতে বলা হয়েছে উত্তর কোরিয়ার সমস্যার সাথে সংশ্লিষ্ট পক্ষসমূহের উচিৎ হবে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবসমূহ কঠোরভাবে কার্যকর করা এবং একই সাথে দ্রুত এক সময়ে একটি সংলাপও এদের শুরু করা দরকার। চীন দাবী করেছে চীনের উপর দায়িত্ব চাপিয়ে না দিয়ে সাফল্য লাভের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের উচিৎ হবে দ্রুত একটি সংলাপের আয়োজন করা।
সূত্র: এনএইচকে ওয়ার্ল্ড বাংলা