আইনগতভাবে বাধ্যবাধকতা থাকা পরমাণু অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ চুক্তির দ্বিতীয় খসড়া নিউইয়র্কে একটি জাতিসংঘ সম্মেলনে আলোচকদের কাছে উপস্থাপন করা হয়েছে। আলোচনার সভাপতি কোস্টারিকান রাষ্ট্রদূত এলাইনে হোয়াইটে গোমেজ মঙ্গলবার এই খসড়া পেশ করেন। আগামী মাসের ৭ তারিখে এই আলোচনা শেষ হয়ে যাওয়ার আগে আরও আলোচনার ভিত্তি হিসেবে খসড়াটি উপস্থাপন করা হয়।
চলতি মাসে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় দফার আলোচনায় ওঠে আসা বিষয়গুলো ভিত্তি করে পারমাণবিক অস্ত্র বিলোপের উদ্দেশ্যে কার্যপ্রণালী তুলে ধরা হয়েছে এ খসড়ায়। খসড়ায় বলা হয়, পরমাণু অস্ত্রধর যেকোন দেশ এই চুক্তির অন্তর্ভূক্ত হতে চাইলে দেশটিকে পরমাণু অস্ত্রসংক্রান্ত কার্যক্রম থেকে অবিলম্বে সরে আসতে হবে এবং দেশটির মালিকানায় বা অধীনে বা নিয়ন্ত্রণে থাকা যেকোন ধরনের পারমাণবিক বিস্ফোরক ও পরমাণু অস্ত্র যত শিগগির সম্ভব ধ্বংস করতে হবে।
খসড়ায়, এই চুক্তিতে যোগদান করতে ইচ্ছুক দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলা হয়েছে যে, সংশ্লিষ্ট দেশগুলো তাদের পারমাণবিক অস্ত্র ভাণ্ডার সরিয়ে ফেলার ঘোষণা দেয়ার পর ৬০ দিনের মধ্যে তাদের পরমাণু অস্ত্র অপরিবর্তনীয়ভাবে ধ্বংস এবং যথার্থতা যাচাইয়ের জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা উল্লেখ করে পরিকল্পনা পেশ করবে। পরমাণু অস্ত্রবিহীন শক্তিগুলোর অনুরোধে এই জাতিসংঘ সম্মেলন আয়োজনের ব্যাপারে গত বছর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
পরমাণু অস্ত্রধর দেশসহ জাপান এবং কয়েকটি পরমাণু অস্ত্রবিরোধী দেশ এ আলোচনায় অংশগ্রহণ করছে না।
সূত্র: এনএইচকে ওয়ার্ল্ড বাংলা