সব ফরম্যাটের ক্রিকেট মিলিয়ে পুরো নিউজিল্যান্ড সফরেই জয়হীন থাকার হতাশা নিয়েই তাই দেশের বিমানে চেপে বসতে হবে বাংলাদেশকে। এরপর বছর জুড়েই থাকছে ব্যস্ত ক্রিকেট সূচি। ব্যর্থতাগুলো বিশ্লেষণ করে শুধরে নেওয়ার সুযোগ থাকছে সেখানে। কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে তাই কিউই সফর থেকে ইতিবাচক দিকগুলো খুঁজে নিয়ে ফিরতে চান। সেই সঙ্গে মেনে নিলেন বোলিংয়ে দুর্বলতা বিষয়টিও। মঙ্গলবার সকালে শিষ্যদের নিয়ে টিম মিটিংয়ে বসেছিলেন হাথুরুসিংহে। তাতে সফর জুড়ে হওয়া ভুল-ত্রুটি নিয়ে নানা বিশ্লেষণ উপস্থাপন করেছেন। পরে ক্রাইস্টচার্চে টিম হোটেলের বাইরে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হন কোচ। সেখানে সিরিজ জুড়ে হওয়া বাজে ফিল্ডিং ও বোলিং আক্রমণ প্রসঙ্গে বললেন, ‘দীর্ঘদিন পর আমরা বিদেশে খেলতে এসেছি। এই পরিবেশে এসে খেলোয়াড়রা অনেক কিছু শিখেছে। বাজে ফিল্ডিং খেলারই অংশ। কেবলমাত্র এজন্যই দল হেরেছে এই অভিযোগ আমি করবো না। তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে সত্য হলো- দলের তরুণ বোলিং আক্রমণ-শক্তি প্রতিপক্ষের সমকক্ষ ছিল না। এটা ভুগিয়েছে।’
তবে হাথুরুসিংহে মনে করছেন নিউজিল্যান্ড সফর থেকে তরুণ বোলাররা যে অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরছে, সেটি সামনের দিনগুলোতে বোলিং আক্রমণ উন্নয়নে বেশ কাজে দেবে। সব মিলিয়ে বর্তমান টাইগার দলকে তিনি ভালো দলের তকমাই দিচ্ছেন। সন্তুষ্টি ঝরল শক্তিমত্তা দেখানোর প্রসঙ্গেও। দল নিয়ে হাথুরু বললেন, ‘দেশে এই দলটিই খুব ভালো একটি দল। তারা দীর্ঘদিন ধরে ক্রিকেট খেলছে। আমি খুশী তারা পুরো সিরিজেই শক্তিমত্তা দেখাতে পেরেছে। তাদের সামর্থ্য আছে। এজন্যই দলটির ওপর মানুষের প্রত্যাশাও বেশি। এখন খেলোয়াড়দেরও তাদের প্রতি প্রত্যাশার ফল দেখানো উচিত। অবশ্য খুব একটা অপেক্ষা করতে হবে না। ফেব্রুয়ারির ৯ তারিখে ভারতে এক টেস্টের সিরিজ খেলতে নামবে বাংলাদেশ। সাকিব-মাহমুদউল্লাহদের ভুল শোধরানোর দারুণ একটি মঞ্চ হতে পারে সেটি।