গত বছর রাজধানীতে বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর পর সড়কে শৃঙ্খলার দাবি ওঠে। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ফলে সড়ক নিরাপত্তায় বেশকিছু নির্দেশনা আসে। তার পরও কমেনি সড়কে দুর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির তথ্য বলছে, গত বছর দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৭ হাজার ২২১ জন। প্রাণহানির এ সংখ্যা ২০১৭ সালের চেয়ে ৪৫ শতাংশ বেশি। যাত্রী কল্যাণ সমিতির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৭ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ছিল ৪ হাজার ৯৭৯।
দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি। তাতে দেখা গেছে, গত বছর সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ১ হাজার ২৫২ জন চালক-শ্রমিক। এছাড়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৮৮০, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ২৩১ জন, শিক্ষক ১০৬, সাংবাদিক ৩৪ ও চিকিৎসক ৩৩ জন।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, ২০১৮ সালে ৫ হাজার ৫১৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৭ হাজার ২২১ জন নিহত ও ১৫ হাজার ৪৬৬ জন আহত হয়েছেন। ওই বছর রেলপথে ৩৭০টি দুর্ঘটনায় ৩৯৪ জন নিহত ও ২৪৮ জন আহত হন, নৌপথে ১৫৯টি দুর্ঘটনায় ১২৬ জন নিহত ও ২৩৪ জন আহত এবং ৩৮৭ জন নিখোঁজ হয়েছেন। এছাড়া আকাশপথে পাঁচটি দুর্ঘটনায় ৫৫ জন নিহত ও ৩২ জন আহত হয়েছেন। সড়ক, রেল, নৌ ও আকাশপথে মোট ৬ হাজার ৪৮টি দুর্ঘটনায় ৭ হাজার ৭৯৬ জন নিহত ও ১৫ হাজার ৯৮০ জন আহত হয়েছেন গত এক বছরে।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও স্রোতার আহ্বায়ক ড. হোসেন জিল্লুর রহমান, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) সাবেক চেয়ারম্যান ও দুর্ঘটনা প্রতিরোধ সংগঠন ফুয়ারার সভাপতি ইকরাম আহম্মেদ, বিআরটিএর সাবেক চেয়ারম্যান আইয়ুবুর রহমান প্রমুখ।