৮ মার্চ সকাল সাড়ে চার টার দিকে শুক্রবার কালে সাইতামা প্রিফেকচার এর মাৎসুবিশি চো এর ভাড়া করা এক অ্যাপার্টমেন্টে বাংলাদেশি নাগরিকত্বের ৪০ বছর বয়সী এক মহিলার মৃত শরীর রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। মহিলার নাম শামিমা আক্তার বলে জানা গেছে।
পুলিশ সন্দেহ করছে যে ৫১ বছর বয়স্ক স্বামী বি এম শাহাদাত হোসেন ছুরি দিয়ে তার স্ত্রীর ঘাড় ও গলা কেটে হত্যা করেছে। পুলিশ বি এম শাহাদাত হোসেনকে গ্রেফতার করেছে।
মৃত গৃহবধূর ভাই জনৈক মোঃ রুহুল আমিন নামক অপর বাংলাদেশী সকালে ৭ মার্চ রাত্রি সাড়ে ১১ টার দিকে পুলিশকে জানায় তার বোন হয়তো কোন বিপদে আছে তার বাসায় যেয়ে খোঁজ নেবার জন্য। পুলিশ নাম ঠিকানা শুনে বলেন যে টোকিও শিনাগাওয়া স্টেশনের মিতা পুলিশ স্টেশনে এই নামে একজন আছে। এরপর পুলিশ তাকে জানায় যে তার বোন জামাই তাদের কাছে আটক আছে। পরে পুলিশ সহকারে তারা শামিমা আক্তার এর বাসায় যান। বাসায় যেয়ে দেখেন রক্তাত অবস্থায় পড়ে আছে শামিমা আক্তার। মোঃ রুহুল আমিনের স্ত্রী মাশিয়ামা এবং পুলিশ প্রথমে ঘরে ঢোকে। খাঠের পাশে তার লাশ পাওয়া যায়।
শাহাদাত তার স্ত্রীকে খুন করার কথা স্বীকার করেছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। স্বামী শাহাদাত ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি ২২ তারিখ পর্যন্ত মানসিক হাসপাতালে ভর্তি ছিল। তারা মামাতো ভাই বোন ছিলেন। মামাতো ভাই বোন। তারা দু’জনেই সরকারী সাহায্যে চলতো বলে জানা যায় রুহুল আমীনের সাথে কথা বলে। অডিও লিংকটি এখানে শেয়ার করা হলো বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও ফেসবুকে ভুল সংবাদ প্রচার হচ্ছে বলে।
শামিমা আক্তার এর বাসার বারান্দা
সংবাদের ভিডিও দেখতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন।
সূত্রঃ এনএইচকে এবং রুহুল আমীন।
https://www3.nhk.or.jp/lnews/saitama/20190308/1100004889.html