জাপানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সোসাইটি, জাপান’র প্রথম অভিষেক অনুষ্ঠান উৎসাহ উদ্দীপনা ও আনন্দঘন পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
৩০ জুন রোববার টোকিওর তাকিনোগাওয়া বুনকা সেন্টার এ আয়োজিত আনন্দঘন এবং উৎসব মুখর পরিবেশে অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার-ই কৃতি সন্তান জাপানে বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। উল্লেখ্য প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ারর-ই সন্তান ছিলেন।
পবিত্র কোরআন তেলোয়াত এর মাধ্যমে অভিষেক অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়।
এরপর লিপিকা চৌধুরী জুঁই কে সভাপতি, আবু সুফিয়ান জুয়েল কে সাধারন সম্পাদক এবং শরিফ আহমেদ খান কে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ১৯ সদস্য বিশিষ্ট কার্যকরী পর্ষদ সদস্যদের নাম ঘোষণা করেন উপস্থাপিকা তুহিন বিনতে মান্নান চৌধুরী ময়না। এছাড়াও কার্যকরী পরিষদে চারজন কে উপদেষ্টা হিসেবে রাখা হয় ।
এরপর গোলাম মাসুম জিকোর কারিগরি সহযোগিতায়। সাখাওয়াত হোসেন এর কণ্ঠে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিচিতির উপর একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয় ।
সংগঠনের গঠনতন্ত্র , আদর্শ ও উদ্দেশ্য নিয়ে বিস্তারিত বর্ণনা করে বক্তব্য রাখেন কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শরিফ আহমেদ খান ।
অতিথিদের স্বাগত ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সাধারন সম্পাদক আবু সুফিয়ান জুয়েল ও সভাপতি লিপিকা চৌধুরী জুঁই ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সোসাইটি, জাপান এর পক্ষ থেকে তাঁদের কৃতি সন্তান রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমাকে সন্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করে হয়। সংগঠনের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক অন্যান্যদের উপস্থিতিতে তাঁর হাতে এ ক্রেস্ট তুলে দেন।
এরপর প্রবাসীদের দ্বারা পরিচালিত বিভিন্ন আঞ্চলিক সংগঠনের পক্ষ থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সোসাইটি, জাপান কে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয় ।
অনেকদিন পর প্রবাসীরা একটি সুন্দর , গুছালো , আনন্দঘন প্রাণবন্ত অনুষ্ঠান উপভোগ করেছে যার কৃতিত্বের দাবীদার সংগঠনের প্রতিটি সদস্য’র । আন্তরিকতা ও টিম ওয়ার্ক এবং সাধারন সম্পাদক আবু সুফিয়ান জুয়েল ও সভাপতি লিপিকা চৌধুরী জুঁই এর যোগ্য নেতৃত্ব।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সোসাইটি, জাপান’র অভিষেক এর বিশেষ প্রাপ্তি ছিল প্রবাসীদের অতি পরিচিত মুখ জাপান আওয়ামীলীগ সভাপতি সালেহ মোঃ আরিফ এর সহধর্মিণী নারমিন হক এর জন্ম দিন। এদিন নারমিন হক এর জন্মদিন হওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সোসাইটি, জাপান’র পক্ষ বিশেষ আয়োজন রাখা হয়। তার ই অংশ হিসেবে শিশুদের নিয়ে কেক কাটা। আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে কেক কেটে একে অন্য কে কেক খাওয়ানো উপভোগ্য ছিল ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সোসাইটি, জাপান’র পক্ষ থেকে আরিফ-নারমিন দম্পতিকে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো হয়। ব্যক্তিগতভাবেও কেহ কেহ উপহার তুলে দেন অভিনন্দন জানিয়ে।
অভিষেক অনুষ্ঠানটি আরও প্রাণবন্ত করে তুলে ‘ঝি ঝি পোকার’কনসার্ট । আত্ম প্রকাশ করার পর টোকিওতে এই প্রথম কনসার্ট করলো ঝি ঝি পোকা। প্রথম কনসার্টেই তাদের অবস্থানের কথা জানান দিয়েছে। সঠিক সিলেকশন এবং পরিবেশনা যে সব বয়সের শ্রোতাদের মাতিয়ে রাখা যায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঝি ঝি পোকা তা প্রমান করেছে। প্রমান রেখেছে বাংলা গানের সমৃদ্ধি ও ভান্ডারের কথা। প্রতিটি গান ই ছিল শ্রতিমধুর এবং উপভোগ্য। সকলেই ঝি ঝি পোকার সাথে কণ্ঠ মিলিয়ে শরীরটাও ঝেড়ে নিয়েছেন একই সাথে।
সার্বিক ভাবেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া সোসাইটি, জাপান’র অভিষেক স্বার্থক ও সফল হয়েছে।
সুন্দর হউক তাদের পথ চলা ।
ছবিঃ রাহমান মনি