ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বের হয়ে আসার বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত না হলেও নিজেদের পাসপোর্ট কাভার থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন লেখা বাদ দিয়েছে ব্রিটেন।
গত ৩০ মার্চ থেকে বার্গান্ডি লাল রংয়ের নতুন এ পাসপোর্ট ইস্যু শুরুও হয়ে গেছে। তবে এখনো আগের পাসপোর্ট মজুদ থাকায় আরও কিছুদিন ইউরোপীয় ইউনিয়ন লেখা পাসপোর্ট পাবেন দেশটির নাগরিকরা। বিবিসির এক অনলাইন প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে যুক্ত হওয়ার আগে গাঢ় নীল রংয়ের নকশার যে পাসপোর্ট মিলতো সেগুলোও চলতি বছর শেষে আবার নতুন করে ছাপানো হবে।
পাসপোর্ট পরিবর্তনের এই বিষয়টি অনেকে অনেকভাবে নিয়েছেন। একজন এই পরিবর্তনকে ভয়াবহ বলে মন্তব্য করেছেন।
শুক্রবার (৫ এপ্রিল) নতুন এই পাসপোর্ট পেয়েছেন সুসান হিন্ডেল নামের এক নারী। তিনি বলেন, আমি মনে করি দীর্ঘদিন ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হিসেবে থাকায় পাসপোর্টের নকশায় পরিবর্তন আনা উচিত হবে না। আমি সত্যিই আশ্চর্য হয়েছি এই পরিবর্তন দেখে। আমরা এখনো ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে আসেনি। আমি মনে করি আগামীতে এই উদ্যোগ ব্যর্থ হয়ে যাবে।
আমরা ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে কী অর্জন করছি। বরং সব মিলিয়ে ক্ষতিই হচ্ছে বলে মনে করেন নতুন পাসপোর্ট পাওয়া এই নারী।
তবে ব্রেক্সিটপন্থীরা শুরু থেকেই পাসপোর্টে পরিবর্তন আনার বিষয়ে একমত ছিলেন।
গাঢ় নীল রংয়ের আগের পাসপোর্টে ফিরে যেতে ২০১৭ সালে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তাকে ‘ব্রেক্সমাস’ (ব্রেক্সিট ও ক্রিসমাস) অ্যাখ্যা দিয়েছিলেন ইউনাইটেড কিংডম ইন্ডিপেনন্ডেন্স পার্টির (ইউকেআইপি) সাবেক নেতা নাইজেল ফারাজে।
গত মাসের শেষের দিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেন বের হয়ে যাবে এমন প্রত্যাশায় পাসপোর্ট থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নাম সরিয়ে ফেলা হয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রাণালয়ের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, জনগণের করের টাকায় তৈরি আগের পাসপোর্ট যতদিন মজুদ আছে ততদিন আপাতত আগের পাসপোর্ট দেয়া হবে।
তবে তিনি জানান, পাসপোর্টে ইউরোপীয় ইউনিয়ন লেখা থাকলো কী না থাকলে সেটা এখানো মোটেই মুখ্য বিষয় নয়। নাগরিকরা আগের মতো উভয় পাসপোর্ট দিয়ে সমানভাবে ভ্রমণ করতে পারবে।