মালয়েশিয়া যেতে এখনো সাগরে ভাসমান অন্তত ২শো রোহিঙ্গা। দেশটির পত্রিকা দ্য স্ট্রেইট টাইমসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন, পেরলিস প্রদেশের পুলিশ প্রধান নূর মুশার।
মালয়েশিয়ার পুলিশ বলছে, জলসীমায় ঢুকলেই রোহিঙ্গাদের আটক করা হবে। সোমবার (৮ এপ্রিল) পেরলিসের সাঙ্গাই বেলাতি সৈকতের ১ কিলোমিটার দূরে ভেড়ে, ৪৭ রোহিঙ্গা বোঝাই একটি নৌকা। যেখান থেকে কাদামাটি পেরিয়ে তীরে ওঠে ৪১ রোহিঙ্গা। যাদের আটক করে মালয়েশিয়ার পুলিশ। বাকী ৬ জন এখনো নিখোঁজ।
আটককৃতদের বয়স ১৪ থেকে ৩০ এর মধ্যে। পুলিশ বলছে, মিয়ানমার থেকে মালয়েশিয়ায় আসতে, থাইল্যান্ডের এক দালালকে জনপ্রতি ৪ হাজার মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত দেন রোহিঙ্গারা।
২০১৫ সালে মালয়েশিয়ায় মানবপাচার বিরোধী অভিযানের পর মিয়ানমার বা বাংলাদেশের শরণার্থী শিবির থেকে নৌকায় করে সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার ঘটনা কমে গিয়েছিল। তবে বিগত কয়েক মাসে মালয়েশিয়া যেতে মিয়ানমার ও বাংলাদেশ থেকে নৌকায় চড়ে বসছেন অনেকে।
২০১২ সালে রাখাইনে সহিংসতা শুরুর পর লাখ লাখ রোহিঙ্গা সমুদ্রপথে মিয়ানমার ছাড়তে বাধ্য হয়। রোহিঙ্গাদের এই ঢল সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে ২০১৫ সালে। ওই বছর প্রায় ২৫ হাজার রোহিঙ্গা আন্দামান সমুদ্র পাড়ি দিয়ে থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া পৌঁছানোর চেষ্টা করে। তাদের অনেকেই সাগরে ডুবে প্রাণ হারায়।