রাজধানীর হাতিরঝিলে অবস্থিত তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র ভবনটি ভেঙে ফেলার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল ৯টা থেকে এই কাজ শুরু করে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ।
সকালে গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শ ম রেজাউল করিম বলেন, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী বিজিএমইএ ভবন ভাঙার মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। সকালে লাল ফিতা দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে ভবনের চারপাশ। সেখানে পাহারায় রয়েছেন রাজউক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী।
মন্ত্রী বলেন, ‘এটি আসলে দীর্ঘ প্রক্রিয়া। হুট করে তো আর ভাঙা শুরু করা যাবে না। এর আগে বেশ কিছু প্রক্রিয়া আছে। ধাপে ধাপে চলবে ভাঙার কাজ। তবে ভাঙার মূল প্রক্রিয়া আজ থেকেই শুরু হলো। ভবনটির চারপাশ রাজউক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘিরে রেখেছেন। বাইরের কাউকেই আর সেখানে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।’
রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অলিউর রহমান সারাবাংলাকে জানান, ভবন ভাঙার বিভিন্ন যন্ত্রপাতি নিয়ে হাতিরঝিলে উপস্থিত হয়েছেন রাজউকের কর্মকর্তারা। তিনি বলেন, ‘আজ থেকে ভবনটি ভেঙে ফেলার কার্যক্রম শুরু হবে। প্রথমে আমরা ভবনটিতে সংযোগ থাকা গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানিসহ সকল সেবা সংস্থার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করবো। তারপর কিছু সময়ের জন্য ভবনে থাকা অফিস মালিকদেরকে সময় দেবো মালামাল সরিয়ে নেওয়ার জন্য। এরপরই শুরু হবে ভবন ভাঙার মূল কার্যক্রম।’
রাজউকের অনুমোদন ছাড়াই বিজিএমইএ ভবন নির্মাণ করা হয়েছে উল্লেখ করে ২০১০ সালের একটি ইংরেজি দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওইদিনই সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ডি এইচ এম মনিরউদ্দিন প্রতিবেদনটি হাইকোর্টের নজরে আনেন। পরদিন হাইকোর্ট বিজিএমইএ ভবন কেনো ভাঙার নির্দেশ দেওয়া হবে না জানতে চেয়ে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেন।