পুলওয়ামা হামলার পর জনপ্রিয়তার শীর্ষে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রথম দফার ভোটের পরে বদলে গিয়েছে পরিস্থিতি। দুইটি সংস্থার করা জরিপে দেখা গেছে ১ মাসে মোদীর জনপ্রিয়তা কমেছে ১৯ শতাংশ। যার প্রভাব ব্যাপক হারে পড়বে নির্বাচনে।
সি-ভোটারের সমীক্ষা অনুযায়ী গত ৭ মার্চ বিজেপির জনপ্রিয়তা ছিল প্রায় ৬২ শতাংশ। মাত্র একমাসের মধ্যে ১২ এপ্রিল তা কমে হয়েছে ৪৩ শতাংশ। অর্থাৎ, একমাসে কমেছে প্রায় ১৯ শতাংশ। পুলওয়ামার আগে মোদীর জনপ্রিয়তা যেমন ছিল, এখনও সেই পরিস্থিতিতে ফিরে এসেছে।
সিএসডিএস নাম একটি সংগঠনের ভোট সমীক্ষায় বলা হয়েছে, উত্তরপ্রদেশের ৮ লোকসভা আসনের মধ্যে ৬টি মুসলিম অধ্যুষিত আসনে গতবারের তুলনায় ভোট কম পড়েছে। গতবছর এই আটটিতেই জিতেছিল গেরুয়া শিবির। কিন্তু এবার অন্তত ৬টি তাদের হারাতে হবে বলে মনে হচ্ছে।
আগের সমীক্ষায় সিএসডিএস অনুমান করেছিল উত্তরপ্রদেশে ৩২ থেকে ৪০টি আসন পেতে পারে। কিন্তু প্রথম রাউন্ডের পরে তাঁরা তাদের অনুমান কমিয়ে করেছে ২০ থেকে ২৫টি আসন। শুধু উত্তরপ্রদেশ নয়, যদি ভোটের হার না বাড়ে তাহলে বিহার এবং মহারাষ্ট্রেও প্রত্যাশার তুলনায় অনেক কম আসন পেতে পারে বিজেপি।
আগের সমীক্ষায় বিহারে এনডিএ পাচ্ছিল ২৮ থেকে ৩৪ আসন। মহারাষ্ট্রে আসন সংখ্যার অনুমান ছিল ৩৮-৪২। কিন্তু সমীক্ষা বলছে, পুলওয়ামার পরে যে মোদি হাওয়া তৈরি হয়েছিল, তা স্তিমিত। এখন ভোট হচ্ছে স্থানীয় ইস্যুতে। আর তা বিজেপির জন্য খারাপ খবর।
ভোটের আগে সর্বশেষ সমীক্ষায় সি-ভোটার এবং সিএসডিএস দুটি সংস্থায় বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটকে প্রায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার কাছাকাছি আসনে জিতিয়ে রাখছিল। কিন্তু এখন তাদের ধারণা অন্তত ৮০ আসন কমেছে বিজেপির।
এমনটা হলে ৫৪৩ আসনের মধ্যে ২০০ আসনও পাবে না বিজেপি। তাহলে তাদের সরকার গড়া সম্ভব হবে না। কারণ সরকার গড়তে হলে প্রয়োজন ২৭৩ আসন।