উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে আরও ১৭টি অভিযোগ এনেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ। এসপিওনাজ অ্যাক্টে এই সব অভিযোগ তোলা হয়েছে। যার কারণে অ্যাসাঞ্জের মাথায় ঝুলছে ১৭৫ বছর পর্যন্ত সাজা। খবর আরটি ও রয়টার্স।
বৃহস্পতিবার প্রকাশ্যে আসা এই সব অপরাধের মধ্যে রয়েছে বেআইনিভাবে গোপন সূত্রের নাম প্রকাশ। গোপন তথ্যভান্ডারে প্রবেশে দেশটির সেনাবাহিনীর সাবেক তথ্য বিশ্লেষক চেলসিয়া ম্যানিং-এর সঙ্গে ষড়যন্ত্র ও সহযোগিতার অভিযোগও আনা হয়েছে।
অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের একটি ফৌজদারির মামলার এক মাসের মাথায় নতুন ১৭টি অভিযোগের খবর জানা গেল।
শুরুতে অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল ম্যানিং-এর সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে সরকারি কম্পিউটারে প্রবেশের। ২০১০ সালে উইকিলিকস আফগানিস্তান ও ইরাক যুক্ত সম্পর্কিত লাখখানেক নথি প্রকাশ করে দেয়।
এই নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আদালতে অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে ১৮টি অপরাধের অভিযোগ উঠল। এর জন্য তাকে কয়েক দশকের সাজার মুখোমুখি হতে পারে। যা ১৭৫ বছরের মতো গড়াতে পারে।
২০১০ সালে ম্যানিংকে গ্রেপ্তার করা হয়। গোয়েন্দাবৃত্তির অভিযোগে ২০১৩ তার সাজা ঘোষিত হয়। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তার শাস্তি ৩৫ বছর থেকে ৭ বছরে নামিয়ে আনেন। তবে অ্যাসাঞ্জ বিরুদ্ধে বিচারকদের সামনে সাক্ষী দিতে রাজি না হওয়ায় এখনো জেলে আছেন ম্যানিং।
কয়েক বছর লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসে রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকার পর মাসখানেক আগে যুক্তরাজ্য পুলিশ গ্রেপ্তার করে অ্যাসাঞ্জকে। বর্তমানে তিনি দেশটির জেলে আটক আছেন।