উঁচু হিলের জুতা পরার বিপক্ষে জাপানের তরুণীরা। দেশটিতে প্রায়ই অফিসে এই উঁচু জুতা পরা বাধ্যতামূলক। তবে জাপানি নারীরা উঁচু হিলকে ‘না’ বলছেন।
বিবিসি জানায়, জাপানের নারীরা মনে করছেন, তারা নিজেরাই ঠিক করবেন কী ধরনের জুতা পরবেন।
একদল নারীর মতে, উঁচু হিল পরার বাধ্যবাধকতা একধরণের লিঙ্গ বৈষম্য। কিন্তু দেশটির সরকার মনে করছে, এ জুতা পরার নিয়ম ঠিকই আছে।
উঁচু হিলের বিপক্ষে একটি সামাজিক প্রচারণা শুরু করেছেন উইমি ইসিকায়া নামে এক জাপানি তরুণীয়া। যারা উঁচু জুতা পরে কাজ করেন তাদের কষ্টের কথা উপলব্ধি করে এ প্রচারণা শুরু করেন তিনি।
লেখিকা উইমি একজন অভিনেত্রীও। তিনি বলেন, “মানুষের বোঝা উচিত যে, এর মাধ্যমে নারীদের প্রতি লিঙ্গ বৈষম্যে করা হচ্ছে। আমাদের ক্ষোভ প্রকাশ করা উচিত যে, বহু বছর ধরে আমাদের এ নিয়ম শেখানো হচ্ছে।”
ইউমি ১৮ হাজারের বেশি সাক্ষর সংগ্রহ করেছেন উঁচু হিলের বিপক্ষে এবং এ সংক্রান্ত একটি পিটিশন সরকারের কাছে জমা দিয়েছেন।
এতে উল্লেখ করা হয়, কোম্পানিগুলো যাতে হাই হিল পরা বাধ্যতামূলক না করে সে ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আনতে।
কিন্তু দেশটির স্বাস্থ্য এবং শ্রম মন্ত্রী সেই পিটিশন প্রত্যাখ্যান করেছেন। মন্ত্রী টাকুমি নিমোটা বলেছেন, “হাই হিল নিয়মটা ঠিক আছে।”
প্রসঙ্গত বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের জরিপে, ১৪৯ দেশের মধ্যে লিঙ্গ সমতার র্যাংকিংয়ের ১১০ অবস্থানে আছে জাপান।
অর্থনীতির সমৃদ্ধির দেশটিতে অনেক দিক দিয়ে পিছিয়ে আছে নারীরা। সেইসঙ্গে কর্মস্থলে ও সামাজিকভাবে নানা বৈষম্যের শিকার তারা।