জাপানে প্রতিবন্ধী সেবাকেন্দ্রে এক হামলাকারীর ছুরিকাঘাতে ১৯ জন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাত আড়াইটার দিকে রাজধানী টোকিও থেকে ২৫ মাইল দক্ষিণ পশ্চিমে কানাগাওয়া প্রদেশের সাগামিহারা এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। ওই হামলায় আরো অন্তত ৪৫ জন আহত হয়েছেন। এক খবরে জানিয়েছে বিবিসি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এটাই জাপানে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর হামলা বলে বলা হচ্ছে। স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাতে বিবিসি জানায়, প্রতিবন্ধী সেবাকেন্দ্রের সুকুই ইয়ামাউরি গার্ডেনে হামলার ঘটনাটি ঘটে। যেখানে সেবাকেন্দ্রের কর্মীদের আবাসিক ভবন রয়েছে। হামলার সময় সেবাকেন্দ্রে ৮ জন দায়িত্বরত ছিলেন।
জাপানের সংবাদ সংস্থা কিয়োডো জানায়, নিহতদের বয়স ১৮ থেকে ৭০-এর মধ্যে। আহত ৪৫ জনের মধ্যে ২০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এদিকে হামলার পর কালো শার্ট পড়া এক ব্যক্তি নিজেই কাছের একটি থানায় গিয়ে ঘটনার স্বীকারক্তি জানায়। বলে, ‘আমি এই পৃথিবী থেকে প্রতিবন্ধী দূর করতে চাই।’
রয়টার্স জানিয়েছে, সন্দেহভাজন হিসেবে পুলিশ ২০ বছর বয়সী সাতোসী ইমাতসো নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে। যিনি ওই কেন্দ্রের সাবেক কর্মী ছিলেন। হামলার ঘটনার পর ২৯টি জরুরি চিকিৎসক দল কাজ করছে। সাগামি নদীর বন ঘেরা সাড়ে ৭ একরের বেশি জমির এপর নির্মিত এবং স্থানীয় সরকার পরিচালিত ওই সেবাকেন্দ্রটিতে প্রতিবন্ধীদের সেবা দেওয়া হয়।
এরকম হামলার ঘটনা জাপানে সাধারণত কম ঘটে। কারণ দেশটিতে অস্ত্র আইন অত্যন্ত কঠোর। এর আগে ২০০৮ সালে একটি হামলার ঘটনায় ৭ জন এবং ২০০১ সালে সাবেক এক পাহারাদার ছুরিকাঘাতে ৮ শিশুকে হত্যা করে।