গত বছরের চতুর্থ প্রান্তিকে পাঁচ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বাজে ত্রৈমাসিক জিডিপি সংকোচনের শিকার হয়েছে বিশ্বের তৃতীয় বৃহৎ অর্থনীতি জাপান। কর বৃদ্ধি ও ভয়াবহ টাইফুন জাপানের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত করায় প্রবৃদ্ধি সংকুচিত হয়েছে দেশটির। খবর এএফপি।
গতকাল প্রকাশিত সরকারি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া নভেল করোনাভাইরাস জাপানে আঘাত হানার আগেই গত বছরের শেষ দিকে দেশটির জিডিপি সংকুচিত হয়েছে। তৃতীয় প্রান্তিকের তুলনায় ২০১৯ সালের শেষ প্রান্তিকে জিডিপি ১ দশমিক ৬ শতাংশ সংকুচিত হতে দেখা গেছে।
অর্থনীতিবিদরা সর্বশেষ প্রান্তিকে ১ শতাংশের কাছাকাছি সংকোচনের পূর্বাভাস করলেও এতটা দুর্বল পরিসংখ্যান আশা করেননি। নরিনচুকিন রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রধান অর্থনীতিবিদ তাকেশি মিনামি বলেন, চতুর্থ প্রান্তিকের পরিসংখ্যান একেবারেই প্রত্যাশিত ছিল না। একদিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ অর্থনীতিতে আঘাত হেনেছে, অন্যদিকে প্রভাব প্রশমনে সরকারের পদক্ষেপ সত্ত্বেও কর বৃদ্ধির পর ভোক্তা আস্থা উল্লেখযোগ্য হারে দুর্বল হয়ে পড়েছে।
বর্তমানে অর্থনীতিবিদরা জাপানের অর্থনীতির ওপর সম্প্রতি চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া নভেল করোনাভাইরাসের প্রভাব সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছেন। এরই মধ্যে জাপানি কোম্পানিগুলোর ম্যানুফ্যাকচারিং কার্যক্রম ও পর্যটনের ওপর ভাইরাসের প্রভাব পড়তে দেখা গেছে।
নরিনচুকিন রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রধান অর্থনীতিবিদ তাকেশি মিনামি বলেন, জাপানের অর্থনীতি টানা দ্বিতীয় প্রান্তিকে সংকুচিত হওয়ার ‘সম্ভাবনা’ রয়েছে, যা মূলত ‘মন্দা’ হিসেবে ধরা হয়।
এদিকে টোকিও অলিম্পিকের আর মাত্র কয়েক মাস বাকি। সন্দেহাতীতভাবেই জাপানের অর্থনীতিতে এ ক্রীড়া আয়োজনের উল্লেখযোগ্য ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।