“আমি আমার অলঙ্কার বিক্রি করে ভ্রমণের যাত্রা শুরু করি। বাঙালি মেয়েরা শাড়ি কেনে, আমি কিনেছি টিকেট।” কাজী আসমা আজমেরি বাংলাদেশি পাসপোর্ট হাতে মাত্র নয় বছরে ভ্রমণ করেছেন একশ’টি দেশ।
ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করেছেন এক যুগ আগে খুলনার মেয়ে কাজী আসমা আজমেরী। থাইল্যান্ড ঘুরতে যান।
পুরোদস্তুর পর্যটকজীবনের শুরু ২০০৯ সালে। সে বছর দক্ষিণ এশিয়ার ভারত, নেপাল, ভুটানসহ সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়ায় পা রাখেন। ২০১০ সালে ঘোরেন মিসর, মরক্কো, তুরস্ক, চীন, ফ্রান্স, ব্রুনেই, বেলজিয়ামসহ ১১টি দেশ। এভাবেই শুরু। সর্বশেষ ২০১৭ সালে গেছেন কিউবায়। সবচেয়ে বেশি দেশ ভ্রমণ করেছেন ২০১৬ সালে। সেবার ঘুরে বেড়িয়েছেন আরব ও ইউরোপের ১৯টি দেশ।
এই ভ্রমণের অভিজ্ঞতা তাকে পেয়ে বসে। বিশ্বদেখার আগ্রহ মনে গেঁথে যায় তার। বাড়ি থেকেও বাধা আসেনি তার আগ্রহে। শুরু করেন বিশ্বভ্রমণ। একে ১০০ দেশ ভ্রমণ করেছেন তিনি।
তবে হঠাৎ বিয়ের প্রস্তাবে তার ভ্রমণের স্বপ্নে ধাক্কা লাগে। কিন্তু অন্তত ৫০টি দেশ ভ্রমণ করে তবেই বিয়ে করতে চান আজমেরী। ২০১৪ সালে ব্রাজিল ভ্রমণের মাধ্যমে ৫০টি দেশ পূর্ণ হয়। আর গত বছরের অক্টোবরে তুর্কমেনিস্তান ভ্রমণের মাধ্যমে ১০০ দেশ পূর্ণ হয়।
এখনো সুইজারল্যান্ড ও নেদারল্যান্ড ভ্রমণ করেননি ৩৩ বছর বয়সী আজমেরী। স্বামীকে সঙ্গে নিয়েই এ দুই দেশ ভ্রমণ করবেন।
ভ্রমণের এই দীর্ঘ অভিজ্ঞতায় তাকে নানা বাধা বিপত্তি অতিক্রম করতে হয়েছে। একাধিকবার আটক হতে হয়েছে। ভিয়েতনামে ঢোকার পরে ২৪ ঘণ্টা আটক থাকতে হয়েছিল। তুরস্ক থেকে টুরিস্ট বোটে সাইপ্রাস যাওয়ার পরেও ২৭ ঘণ্টার আটক থাকেন তিনি।
অভিজ্ঞতায় আসমা বলেন, “আমি কোনো দেশে সবসময় আমার ভ্রমণ শুরু করি সে দেশের জাদুঘর দর্শনের মধ্য দিয়ে। ভালোভাবে ঘোরার জন্য এটি আমাকে সে দেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সম্পর্কে পরিচয় করিয়ে দেয়।”