নগদ ১০ কোটি টাকা এবং ২০০ কোটি টাকার এফডিআরসহ রাজধানীর নিকেতন থেকে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক জি কে শামীমকে আটক করা হয়েছে।
এসময় তার ছয় দেহরক্ষীকেও আটক করা হয়। উদ্ধার করা হয় আগ্নেয়াস্ত্র, মাদক ও বিদেশি মুদ্রাও।
শুক্রবার সকাল ১১টার পর নিকেতনের ৫ নম্বর রোডের ১৪৪ নম্বর বাসাটি ঘেরাও করে ফেলে র্যাব-১ এর সদস্যরা।
শামীমকে নিকেতনের বাসা থেকে আটক করে তার জি কে বিল্ডার্স অফিসে অভিযান চালানো হয়।
জি কে বিল্ডার্সের চেয়ারম্যান জি কে শামীম একইসঙ্গে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি পদেও রয়েছেন। সবসময় সশস্ত্র দেহরক্ষীসহ চলাফেরা করে থাকেন তিনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের উপপরিচালক মেজর হুসাইন রইসুল আজম মনি জানান, জি কে শামীমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। সেগুলোর ভিত্তিতেই অভিযান চলছে।
অন্যদিকে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক এএসপি মিজানুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, অভিযান চলছে। এখন পর্যন্ত কতজন আটক হয়েছে তা বলা যাচ্ছে না। অভিযান শেষে তা জানানো হবে।
রাজধানীতে ক্যাসিনো বিরোধী চলমান অভিযানের মধ্যেই জি কে বিল্ডার্সের চেয়ারম্যান এই যুবলীগ নেতার অফিসে অভিযান চালানো হলো।
এর আগে বুধবার রাতে যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে তার গুলশানের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। অবৈধ ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে র্যাব জানায়।