সীমান্তে হঠাৎ করে সৈন্য জমায়েতের কারণ জানতে ঢাকাস্থ মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে তাকে ডেকে পাঠানো হয়। এ সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ ঘটনার কড়া প্রতিবাদ জানিয়ে দেশটির রাষ্ট্রদূতকে একটি চিঠি দেয়া হয়।
দুই দেশের সীমান্তের তিনটি পয়েন্টে মিয়ানমার সৈন্যদের উপস্থিতি দেখা গেছে।
শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে মাছ ধরার ট্রলারে করে সীমান্তের নিউন ছুয়াং, মিন গা লার গি ও গার খু ইয়া পয়েন্টে দেশটির সৈন্যরা জড়ো হতে থাকে। মাছের ট্রলারের উপরের অংশে কাঠ বসিয়ে, নিচে সৈন্যদের থাকার জায়গা করে দিয়ে কৌশলে প্রায় হাজারখানেক সৈন্যকে তারা জড়ো করেছে। এর আগে ২০১৭ সালেও রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে পাঠানোর আগে এভাবে সীমান্তে সৈন্য সমাবেশ করে মিয়ানমার।
চলতি সপ্তাহে বিনা উসকানিতে এভাবে সীমান্ত এলাকায় নতুন করে সেনাসমাবেশের প্রতিবাদে ঢাকায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়েকে রোববার তলব করা হয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিয়ানমার সেলের মহাপরিচালক মো. দেলোয়ার হোসেনের দফতরে সকালে রাষ্ট্রদূত সাক্ষাৎ করেন। শান্তিপূর্ণ সময়ে সীমান্তে সৈন্য সমাবেশ দুই দেশের মধ্যে ভুলবোঝাবুঝি তৈরি হতে পারে বলে এ বিষয়ে তাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়।
এর আগে বাংলাদেশের সীমানায় হেলিকপ্টার অনুপ্রবেশের ঘটনা, নো ম্যানস ল্যান্ড এলাকায় মাইন পুঁতে রাখাসহ একাধিক ঘটনায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে বেশ কয়েকবার তলব করেছিলো পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। প্রতিবারই তার হাতে কড়া নোট পাঠিয়ে এসব ঘটনার প্রতিবাদ করে বাংলাদেশ।