প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপানের প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগ লাভের জন্য ইয়োশিহিদে সুগাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন যে তিনি জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার অপেক্ষায় রয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী আজ এক অভিনন্দন বার্তার মাধ্যমে নতুন জাপানি প্রধানমন্ত্রীকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন।
শেখ হাসিনা বার্তায় বলেছেন, ‘বাংলাদেশ সরকার ও জনগণ এবং আমার ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে আমি জাপানের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে আপনার নিয়োগের জন্য আপনাকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাতে চাই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনার (ইয়োশিহিদে সুগা) নির্বাচন আপনার গতিশীল নেতৃত্ব ও দৃঢ়তা এবং আপনার ওপর ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) এবং জাপানের জনগণের আস্থার প্রতিফলন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘করোনাভাইরাস মহামারীর সঙ্গে লড়াই এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের গতিশীলতা আনার মধ্যে একটি সুন্দর ভারসাম্য বজায় রাখার যে প্রতিশ্রুতি আপনি ব্যক্ত করেছেন তা মূল্যায়নের মহতী মুহূর্তে বাংলাদেশের মানুষ জাপানের বন্ধুপ্রতিম জনগণের সঙ্গে যোগ দিচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ জাপানের জনগণের কল্যাণ এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক শান্তির প্রতি আপনার ইতিবাচক মনোভাব সম্পর্কিত দূরদর্শী নীতিমালা বাস্তবায়ন করাকেও খুবই মূল্যবান মনে করে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশ ও জাপান একটি বিশ্বস্ত বন্ধুত্ব এবং জোরালো দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উপভোগ করে আসছে।’
তিনি বলেন, ‘বিশেষ করে গত দশকে আমাদের উভয় সরকার দুই দেশের পারস্পরিক উন্নয়নমূলক উদ্যোগকে শক্তিশালীকরণ ও উন্নয়নে একটি সার্বিক কৌশলগত অংশীদারিত্বের আওতায় অত্যন্ত ঘনিষ্ট হয়েছে।’
জাপানের অব্যাহত সহায়তার জন্য গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একইসঙ্গে আমি আপনার সুযোগ্য নেতৃত্বের অধীনেও এর চলমানতা আশা করছি।’
এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা জানান, তিনি জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সহযোগিতার সকল ক্ষেত্রে দুইদেশের মধ্যে অধিকতর সম্পৃক্ততার জন্য আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার অপেক্ষায় রয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রীকে সম্ভাব্য স্বল্পতম ও সুবিধামতো সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
শেখ হাসিনা জাপানের প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু ও সুখ এবং জাপানের বন্ধুপ্রতিম জনগণের অবিচ্ছিন্ন শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।