জাপান প্রবাসী সাংবাদিক এমডি মোখলেসুর রাহমান ওরফে রাহমান মনির নিজস্ব ফেসবুক একাউন্টে ১০ জুন ২০২০ পোস্ট করা একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস নিয়ে বিএনপি জাপান শাখার মধ্যে একধরনের প্রতিক্রিয়া দেখা যায় ফেসবুকে এবং প্রবাসী কমিউনিটি সমাজে। আজ ৩ জুলাই ২০২০ বিএনপি জাপান শাখার সভাপতি নূর এ আলম (নুর আলী) এই ঘটনার প্রেক্ষিতে একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস পোস্ট করেন ।
বিএনপি জাপান শাখার সভাপতি নূর এ আলম (নুর আলী) এর ফেসবুক স্ট্যাটাসটি হুবহু নিচে তুলে ধরা হলঃ
সাংবাদিক রাহমান মনি ফেসবুক স্ট্যাটাস এবং আমার কিছু কথা নুর এ আলম ( নুর আলী ) সভাপতি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) জাপান শাখা । অতি সম্প্রতি ( ১০ জুন ‘২০ ) জাপান প্রবাসীদের অতি পরিচিত মুখ সাংবাদিক রাহমান মনি ( সাপ্তাহিক জাপান প্রতিনিধি ) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক-এ জাপান বিএনপি নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দেন। জাপান বিএনপি’র গতি বিধি, রাজনৈতিক কর্মকান্ড পর্যালোচনার উপর সাংবাদিক এর দৃষ্টিতে তার অভিজ্ঞতায় আভাষ মূলক একটি পূর্বাভাষ ছিল স্ট্যাটাসটির মূল বিষয়। এ’টি কোন নিউজ ছিল না।পাঠকদের সুবিধার্থে স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো — “বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, জাপান শাখা ( জাপান বিএনপি ) পুনরায় সুসংগঠিত হ’বার আভাষ পাওয়া যাচ্ছে। দীর্ঘ এক যুগ পর আলোর পথ দেখতে পেয়ে নেতা কর্মীরা উৎফুল্ল, প্রাণচাঞ্চল্যতা ফিরে পাচ্ছে ।
বিএনপি হাই কমান্ড এবং লন্ডন এর নির্দেশনা মোতাবেক অভিজ্ঞতা সম্পন্ন দলের প্রাক্তন সভাপতিদের সন্মানজনক পদে রেখে সভাপতি , সাধারন সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক পদগুলোর মতো ভাইটাল পদগুলোতে নতুন মুখ আসার বিষয়টি বিভিন্ন সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে। একাধিক সূত্র মতে নতুন নেতৃত্বে থাকছেন এমডি, এস, ইসলাম নান্নু এবং মনি এমদাদ।উপদেষ্টা মন্ডলীতে থাকছেন নুর এ আলম ( নুর আলী ) , খান মনি , ইয়াকুব নবী, ইঞ্জিনিয়ার ওয়াজির আহমেদ এর মতো অভিজ্ঞ সম্পন্ন প্রাক্তন সভাপতি বৃন্দ। থাকছে তারুণ্য নির্ভর এবং কর্মঠ নেতাকর্মী বৃন্দ ।সূত্র – একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র, রাজনৈতিক কর্মতৎপরতা পর্যবেক্ষণ এবং অভিজ্ঞতা ।” স্ট্যাটাসটির মর্মার্থ অনুধাবন করতে না পারা জাপান বিএনপি কর্মী নামধারী কতিপয় সদস্য যে উচ্ছৃঙ্খলতা দেখালো তাতে জাপান বিএনপির সভাপতি হিসেবে আমি বিস্মিত, মর্মাহত এবং একই সাথে লজ্জিতও ।
বিএনপি সমর্থক নামধারী ওইসব উচ্ছৃঙ্খল কর্মীদের বাক্য ব্যবহার, ব্যক্তি আক্রমণ , হা-হুতাশ বিএনপি রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত তো বটেই একই সঙ্গে স্থুলবুদ্ধি সম্পন্নতার পরিচয় বহন করে। কোন মস্তিস্ক সম্পন্ন লোক তা করতে পারে না। আমি নুর এ আলম ( নুর আলী ) কেন্দ্র অনুমোদিত বর্তমান চলমান কমিটির সভাপতি হিসেবে সাংবাদিক রাহমান মনি’র আভাষ রহস্য এবং সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন সম্পর্কে কিছু কথা না বললেই না হয়।২০০৮ সালে বিএনপি মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন ( প্রয়াত ) কর্তৃক অনুমোদিত বিএনপি জাপান শাখার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব প্রাপ্ত হওয়ার পর থেকেই দল কে সুসংগঠিত করার কাজে হাত দেয়ার পাশাপাশি দলীয় সকল কর্মকাণ্ড এবং সামাজিক দায়িত্ব পালন করতে থাকি।
আমার রানিং মেট হিসেবে সাধারন সম্পাদক মীর রেজাউল করিম রেজা কে মনোনীত করা হয়। এর আগেও তিনি ছয় বছরেরও অধিক সময় একই পদে আসীন ছিলেন।এবার সাধারন সম্পাদক হিসাবে পুনঃবহাল হওয়ার কিছু দিন পরই রেজা তার ব্যক্তিগত আক্রশে এবং ব্যবসায়ী স্বার্থ কে প্রাধান্য দিয়ে দলের মধ্যে বিশৃংখলা সৃষ্টি করে এক পর্যায় দলের সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির মাসুম ও যুগ্ম সম্পাদক মুক্তা মাহমুদকে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে দল থেকে বহিস্কার করেন। ২০০৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর পাতানো এক নির্বাচনে হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ দ্বিতীয় বারের মতো ক্ষমতায় আসলে দেশে এবং প্রবাসে বিএনপি নেত্রীবৃন্দের উপর বিভিন্ন অত্যাচার নেমে আসে।
এরমধ্যেই ব্যক্তিগত এবং পারিবারিক কাজে একাধিকবার জাপান-বাংলাদেশ যাতায়াতের মাধ্যমে সঠিকভাবেই দায়িত্ব পালন করে যাই। ২০১২ সালের ডিসেম্বরে দেশে যাওয়ার প্রাক্কালে কমিটির দুই নাম্বার সদস্য মোফাজ্জল হোসেন এর কাছে বরাবরের মতো মৌখিকভাবে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে সভাপতির দায়িত্ব অর্পণ করে যাই। এখানে বলে রাখা ভালো যে , এর আগেও একাধিকবার একই ব্যক্তির হাতে দায়িত্ব দিয়ে যাই এবং যথারীতি ফিরে এসে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে থাকি।
কিন্তু ২০১২ সালের ঘটনা ছিল একটু ভিন্ন । সে’বার পারিবারিক কারনে ৩ বছরেরও কিছু বেশী সময় আমাকে দেশে অবস্থান করতে হয় এবং সেই সময় আন্তর্জালের সুবিধায় সর্বদা যোগাযোগ রক্ষা করতে চেষ্টা করেছি। অনেকের সাথেই আমার নিয়মিত যোগাযোগ হ’তো। সাধারন সম্পাদক দেশে গেলে সেখানে জাপানের দল পরিচালনার খবরাখবর নিই এবং দিক নির্দেশনা মুলক পরামর্শ দেই। বাংলাদেশে থাকা কালীন সময় দলের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে সক্রিয় অংশগ্রহণ করি।
২০১৮ সালের ৮ই জানুয়ারী দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সাথে দেখা করে জাপান বিএনপির সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরি। সন্মানিত চেয়ারপার্সন রেজা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল বলে জানিয়ে বলেন, ইতোমধ্যে বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ রেজা’র স্বেচ্ছাচারিতা সম্পর্কে আমাকে বিভিন অভিযোগ করেন। তিনি দলের গঠনতন্ত্র অনুসরণ করে আমাকে জাপান বিএনপিকে পরিচালিত করার পরামর্শ দেন।
একান্ত ইচ্ছা থাকা সত্বেও ২০১৮ সালে একতাবদ্ধভাবে ইফতার মাহফিল আয়োজন সম্ভব নাহলে একইদিন পৃথক পৃথক ইফতার মাহফিল –এর আয়োজন করে। কোইওয়াতে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে সর্বোচ্চ সংখ্যক নেতাকর্মী সহ প্রায় পাঁচ শতাধিক অতিথি অংশ নেন। উপস্থিত ছিলেন জাপান বিএনপি তে যার অবদান সবচেয়ে বেশী সেই উপদেষ্টা এমডি, এস, ইসলাম নান্নু । এরপর ২০১৯ এর প্রথম দিকে উপদেষ্টা এমডি,এস, ইসলাম নান্নু, কাজী আসগর আহমেদ সানী,কাজী এনামুল হক এর উপস্থিতিতে শিনাগাওয়া প্রিন্স হোটেলে এক সমঝোতা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির শুভাকাঙ্ক্ষীআশরাফুল ইসলাম শেলী ও । চার চারটি সভার ধারাহিকতায় এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। আর এর পেছনে সবচেয়ে বেশী অবদান রেখেছে সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম রনি। উক্ত সভায় আমার সংগে উপস্থিত ছিল মনি এমদাদ, নজ্রুল ইসলাম রনি এবং আফতাব।
আর মীর রেজার সাথে ছিলেন জাকির হোসেন মাসুম, আলমগীর হোসেন মিঠু। সেখানে আমাদের মধ্যে একটি মৌখিক চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী মতভিন্নতা থাকলেও নিজেদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমেই তা সমাধা করতে হবে। কোনভাবেই তা জনসম্মুখে এমন কি কর্মী সম্মুখেও আনা যাবে না। এরই মধ্যে আমি হাসপাতালে (Center Hospital of the National Center for Global Health and Medicine ) চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় দল আয়োজিত ইফতার মাহফিলে যোগ দিই। সাধারন সম্পাদক মীর রেজা যেটা প্রত্যাশা করতে না পারায় তার ক্রোধের শিকার হয়ে সভাপতি হওয়া সত্বেও মনি এমদাদ এর হস্তক্ষেপে মঞ্চের এক কোনায় অতিরিক্ত একটি চেয়ারে আমার আসন নিশ্চিত করা হয়। এরপর আসে দলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন। দলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন উপলক্ষে রোববার হল নেয়া হয়। ওই সময় আমি হৃৎপিণ্ডে ব্লক ধরা পড়ায় এদোগাওয়া হাসপাতালে ভর্তি হই। ডাক্তার আমাকে তিনটি রিং পরানোর পরামর্শ দেন। ২দিন আগে শুক্রবার আমার হৃৎপিণ্ডে প্রথম রিংটি পরানো হয়।
রোববারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে যোগ দেয়ার জন্য আমি আমি চিকিৎসকের অনুমতি প্রার্থনা করি। কিন্তু পরের দিন অর্থাৎ সোমবার আমার হৃৎপিণ্ডে ২য় রিংটি বসানো পূর্ব নির্ধারিত থাকায় এবং রোববার বিকেল থেকেই চিকিৎসকের তত্বাবধানে থাকা নির্ধারিত হওয়ার কারনে অনুমতি মিলে না।
বাধ্য হয়েই পূর্ব রাতে ( শনিবার ) কাজী এনামুল, ফয়সাল সালাউদ্দিন, মিঠু, মোফাজ্জল এর উপস্থিতিতে রেজাকে অনুষ্ঠান আয়োজন এক সপ্তাহ পিছিয়ে পরবর্তী রোববার আয়োজন করার অনুরোধ জানাই। মীর রেজা অনুষ্ঠান পিছালে ৫০/৬০ জন নেতাকর্মী হাতছাড়া হয়ে যাবার কথা বলে কোন মতেই পিছানো যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন। অনুষ্ঠান আয়োজনের দিন রোববার দুপুরে খান রনি, মোস্তাফিজুর রহমান জনি, আবুল খায়ের, এনামুল ঢালী, নজরুল ইসলাম রাজিব, নজরুল ইসলাম রনি, দেলোয়ার হোসেন ডিউ, খায়রুল বাশার মামুন, হায়দার হোসেন, মনি এমদাদ, দেলোয়ার হোসেন দফতরী এর উপস্থিতিতে আবার মীর রেজাকে ফোন করি এবং অনুষ্ঠান পিছানোর অনুরোধ করি।
নিজের ব্যক্তিগত শারীরিক অসুস্থতার কথা ছাড়াও, বিচ্ছিন্ন কর্মীদের একত্রীকরণ করে সম্মিলিত ভাবে আয়োজন করলে লোক সমাগম আরো বেশী হবে বলে জানাই। কিন্তু অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ভাবে মীর রেজা তার পূর্ব অবস্থানে অটল থেকে আবারো সেই একই কথা অর্থাৎ ৫০/৬০ জন নেতাকর্মী হাতছাড়া হয়ে যাবে বলে জানান।
একই সাথে কিছুদিন আগের সমঝোতার কথা ভুলে গিয়ে ‘আপনি আপনার মতো এবং আমাকে আমার মতো’ করে করতে দিন বলে জানান। এমডি, এস, ইসলাম নান্নু মধ্যস্থতা করতে আসলে মীর রেজা প্রয়োজনে নিজ অনুসারী পাঁচজন নিয়ে হলেও সেইদিন-ই অনুষ্ঠান আয়োজনের সংকল্প পুনঃব্যক্ত করে। এতে করে মধ্যস্থতাকারী উপদেষ্টাকেও চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয় ।
সেই অনুষ্ঠানে সর্ব মোট ২৮ জন উপস্থিত ছিল বলে প্রমানিত সত্য। তাও আবার একই সময়ে একই স্থানে একটি বার্থডে পার্টি ছিল এবং সেই পার্টির অতিথি সহ ( ছোট বড় ) সব মিলিয়ে ২৮ জনের উপস্থিতি, ৫০/৬০ জন নেতা কর্মী হাতছাড়া হয়ে যাওয়ার হাস্যকর দাবীতে পরিণত করে এবং যথারীতি দলে আবার ভাঙন ধরে।
সভাপতি হিসেবে আমি নেতাকর্মীদের নিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাই। ওইদিন অনড় থেকে অনুস্টান আয়োজনের পেছনে অন্যতম কারন হিসেবে এর আগে রেজা নির্বাচনে পরিকল্পিতভাবে তার অনুসারীদের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের পদ বানিজ্য করে আর্থিক লাভবান হয়ে আমাকে দিয়ে তাদের বৈধতা দেয়ার কাজটি করিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন বলে জানতে পারি।
এই অভিযোগের সত্যতা মিলে দলে তার ভাইগ্না পরিচয় প্রদানকারী মোল্লা দেলোয়ারের বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে। এর সুরাহা করতে মোল্লা দেলোয়ার ঐসময় আকাবানে এক সাংবাদিকের কাছে গিয়ে একাধিকবার ধর্না দেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এখন আমারও বয়স হয়েছে। তাছাড়া দীর্ঘ ১২ বছর তো সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। আর কতো ? এছাড়া আমি এরপরও দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আদু ভাই হিসেবে ইতিহাসে নাম লিখাতে চাই না।
কেহ যদি ২২ বছর সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেও হাউস না মিটে অসাধারণ সম্পাদক হিসেবে তার নাম লিখাতে চান সেটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার, আমার কোন দায় নেই। সাংবাদিক রাহমান মনি তার ফেসবুক-এ যে স্ট্যাটাস দিয়েছেন তা আমার মনের কথা এবং জাপান বিএনপি নেতাকর্মীদের মনের কথা ও প্রাণের দাবী বলেই আমিও মনে করি। এমডি, সহিদুল ইসলাম নান্নু এবং মনি এমদাদ দুইজন-ই উপযুক্ত। দ্বিমত হওয়ার কোন সুযোগ নেই।
তবে আমি এও মনে করি যে, জাপান বিএনপিতে অনেক যোগ্য কর্মী রয়েছে যাদের প্রত্যেকে-ই নেতৃত্ব দেয়ার যোগ্য এবং দলকে এগিয়ে নিতে সক্ষম। কিন্তু বিএনপির মতো সর্ব বৃহৎ একটি রাজনৈতিক দলে নেতৃত্ব পরিবর্তনে একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যেতে হয়। দায়িত্বে হস্তান্তরের পূর্বে কেন্দ্রের নির্দেশে একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে সম্মেলন দিয়ে, সম্মেলন এর মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব বেঁছে নিতে হবে।
বিএনপি কারোর ব্যক্তিগত বা পারিবারিক সম্পদ নয় যে, বছরের পর বছর একই পদে থেকে “গড ব্রাদারে” নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। বলতে দ্বিধা নেই, নিজেকে এই গড ব্রাদার-এ প্রতিষ্ঠিত করতে গিয়ে দলকে একাধিকবার ভাঙনের মুখে ঠেলে দেয়ার দায় সভাপতি হিসেবে আমি এড়াতে পারিনা। কিন্তু এভাবে আর কতোদিন ? আমিই বা কেন এর দায় নিয়ে সামনে এগিয়ে যাবো ?এছাড়া যাদের নুন্যতম রাজনৈতিক জ্ঞান নেই, রাজনৈতিক ভাষা বুঝেনা, রাজনৈতিক শিষ্টাচার বুঝেনা, সংগঠন এবং সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনায় যারা শারীরিক ভাষা প্রয়োগ করতে চান, তাদের নিয়ে বিএনপি’র মতো দল চালানো যায় না।
কোনটি ফেসবুক স্ট্যাটাস আর কোনটি নিউজ এই স্বাভাবিক বিষয়টি বুঝার মতো বোধশক্তি যাদের নেই বা মোকাবেলা করার যথেষ্ট মেধা যাদের নেই তাদের দিয়ে বিএনপির মতো দল পরিচালনার ভার থাকলে, সে দল যে আরও বহুদা ভাগে ভাগ হবে না তার নিশ্চয়তা কি ? সভাপতির উপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির যে আর কোন প্রয়োজন থাকেনা এই নুন্যতম জ্ঞানটুকু যাদের নেই তাদের নিয়ে কি রাজনীতি করা যায় ? এই নিয়ে মোট ৮ বার বসা হয়েছে।
কিন্তু ভারপ্রাপ্ত যে আর ভারমুক্ত হতে চান না ! আসলেই এবং সত্যিকার অর্থে যারা বিএনপি করেন, শহীদ জিয়ার আদর্শ বিশ্বাস করে চেয়ারপার্সন বেগম জিয়া এবং তারুণ্যের প্রতীক তারেক জিয়ার নেতৃত্বের প্রতি অবিচল থেকে এগুতে চান তাদের সুসংগঠিত করে নতুন নেতৃত্ব জাপান বিএনপি কে এগিয়ে নিয়ে যাবে এই প্রত্যাশাই করি। আমার দোয়া এবং সহযোগিতা সব সময়ই থাকবে।
স্বাক্ষর নুর এ আলম ( নুর আলী ) সভাপতিবিএনপি , জাপান শাখা শ্রুতি লিখন – রাহমান মনি সাপ্তাহিক , জাপান প্রতিনিধি।