চীনা পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কারোপের জবাবে মার্কিন পণ্যে শুল্কারোপ করতে যাচ্ছে চীন। আগামী ১ জুন থেকে ৬ হাজার কোটি ডলার সমমূল্যের মার্কিন পণ্যে এ শুল্ক আরোপ হতে যাচ্ছে। সোমবার (১৩ মে) চীনের শুল্ক নীতিমালা কমিশন বিষয়ক মন্ত্রীপরিষদ দ্য স্টেট কাউন্সিল এক ঘোষণায় একথা জানিয়েছে। এ ঘোষণার মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধ আরও তীব্র রূপ ধারণ করল। খবর বিবিসির।
গত শুক্রবার ২০ হাজার কোটি ডলার সমমূল্যের চীনা পণ্যে ১৫ শতাংশ শুল্কহার বৃদ্ধি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ওই শুল্কহার বৃদ্ধির জবাবেই এই ঘোষণা দিয়েছে চীন। অবশ্য চীনা পণ্যে শুল্কারোপের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, এই শুল্কারোপে মার্কিন ভোক্তাদের কোন ক্ষতি হবে না ও চীন পাল্টা জবাবে কোনো শুল্কারোপ করবে না।
উল্লেখ্য, চীনা পণ্যে ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্কারোপের খেসারত দিতে হবে মার্কিন ব্যবসায়ীদেরই। শুল্কারোপ করায় চীন থেকে ওইসব পণ্য আমদানি করতে গেলে তাদের ২৫ শতাংশ শুল্ক পরিশোধ করতে হবে। ফলস্বরূপ সেসব পণ্যের আমদানি কমবে বা পণ্যের মূল্যে অত্যধিক পরিমাণে বৃদ্ধি পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর আগে ওই শুল্কের পরিমাণ ছিল ১০ শতাংশ। একইভাবে মার্কিন পণ্যে চীনা শুল্কারোপের মূল্য দিতে হবে চীনা ব্যবসায়ী ও ভোক্তাদের।
বেইজিং তাদের ঘোষণায় বলেছে, বেইজিং এমন কোনো ‘তেতো ফল’ গিলবে না যেটায় তাদের স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তারা আরও বলেছে, সব মিলিয়ে মোট ৫ হাজার মার্কিন পণ্যে ৫ শতাংশ থেকে শুরু করে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্কারোপ করা হবে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গেং শুয়াং বেইজিংয়ে হওয়া এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বেইজিং কখনোই বহিরাগত চাপের মুখে নতি স্বীকার করবে না।
এদিকে, চীনের শুল্কারোপের ঘোষণার কিছুক্ষণ পরই ট্রাম্প এক টুইটে লিখেন, চীনের প্রতিবাদ জানানো উচিৎ হয়নি- পরিস্থিতি এখন আরও খারাপের দিকে গড়াবে। চীন বহু বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের (বাণিজ্য নীতিমালার) সুবিধা নিয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও লিখেন, চীনা পণ্যের মার্কিন ভোক্তারা অন্যান্য সূত্র থেকে একই পণ্য ক্রয় করে শুল্ক এড়াতে পারে। শুল্ক আরোপ হওয়া পণ্য আমদানিকারী প্রতিষ্ঠানগুলো চীন ছেড়ে ভিয়েতনাম ও অন্যান্য এমন এশীয় দেশ থেকে সেসব পণ্য ক্রয় করতে পারে। সেজন্যই চীন একটি চুক্তিতে আসার জন্য মরিয়া হয়ে আছে।