উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭০ এ। আর মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৭৭০০ জন। চীনের স্বাস্থ্য কমিশন সূত্রে বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) পর্যন্ত এই হিসাব জানিয়েছে দ্য নিউইয়র্ক টাইমস।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাভাইরাসের ইস্যুতে বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যসংক্রান্ত জরুরি অবস্থা জারি করা হবে কি না, সে ব্যাপারে বৈঠকে বসেছে। ডব্লিউএইচও এর স্বাস্থ্যসংক্রান্ত জরুরি অবস্থা কর্মসূচির প্রধান ডা. মাইক রায়ান বিবিসিকে জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) তাদের চিকিৎসক প্রতিনিধিদল চীনের অভূতপূর্ব সাড়াদান কার্যক্রম পরিদর্শন করতে চীনে যাচ্ছেন।
চীনের সকল প্রদেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। চীনের বাইরে অন্তত বিশটি দেশ থেকে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী সনাক্তকরনের ব্যপারে নিশ্চিত করা হয়েছে। নতুন করে তিব্বতে কয়েকজন করোনাভাইরাস আক্রান্তকে সনাক্ত করা হয়েছে। বর্তমানে ভারত, নেপাল, থাইল্যান্ড, তাইওয়ান, হংকং, ম্যাকাও, তিব্বত, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, ভিয়েতনাম ও জার্মানিতে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেলেও, চীনের বাইরে কোনো প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি।
বর্তমানে, করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল উহান ভূতুড়ে এক শহরে পরিণত হয়েছে। অন্যান্য শহরের সাথে আগেই যোগাযোগ বন্ধ হওয়ার পর এখন ওই শহরের ১ কোটি ১০ লাখ অধিবাসী নিজ নিজ অ্যাপার্টমেন্টেই কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে আছেন। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিও থেকে দেখা যায় তারা গান গেয়ে নিজেদের মনোবল ধরে রাখার চেষ্টা করছেন। যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকদের উহান থেকে বিশেষ বিমানে করে দেশে ফেরানো হয়েছে। অন্যান্য দেশের নাগরিকদেরও উহান থেকে বের করে আনার প্রক্রিয়া চলছে।
প্রসঙ্গত, ভয়াবহতায় করোনাভাইরাস ২০০২-২০০৩ সালের সার্স ভাইরাসকেও হার মানিয়েছে। ওই সার্স ভাইরাসের সংক্রমণে মোট ৭৭৪ জনের প্রাণহানি হয়েছিল। করোনাভাইরাসে সেই সংখ্যা ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।