বিশ্বের সবচেয়ে বড় করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) টিকা দেওয়ার কার্যক্রম শুরু করেছে ভারত। শনিবার (১৫ জানুয়ারি) এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
বিশ্বের জনবহুল এই দেশটি নিজেদের দেশে উৎপাদিত দুটি টিকা দিয়ে করোনা মহামারী মোকাবেলা করার চেষ্টা করছে। মোদি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে স্বাস্থ্য কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, এই মুহূর্তে তিনি নিজেই করোনার টিকা নিবেন না। কারণ, টিকা প্রয়োগের ক্ষেত্রে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীসহ সম্মুখসারির যোদ্ধাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।
প্রচারণার প্রথম দিনেই সারাদেশের তিন হাজার কেন্দ্রে ১০০ জন স্বেচ্ছাসেবীকে করোনার টিকা দেওয়া হবে। ভারতের সরকার এটিকে এ সপ্তাহের বিশ্বের সবচেয়ে বড় টিকা কার্যক্রম বলে অভিহিত করেছে। দেশটির সরকার এক বিবৃতিতে জানায়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় টিকা কার্যক্রম পুরো দেশকে এক করে দেবে।
ভারতের মোট জনসংখ্যা ১৩৫ কোটি। দেশটি জানায়, তাদের দেশের সব নাগরিককে করোনার টিকা দেওয়ার প্রয়োজন হবে না। কারণ, তাদের অনেকের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। তবুও দেশটির অর্ধেক জনগোষ্ঠীকে টিকা প্রয়োগ করার মাধ্যমে এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় কার্যক্রম হবে বলে দাবি করা হচ্ছে।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়-অ্যাস্ট্রাজেনেকা এবং মোদি সরকার সমর্থিত ভারত-বায়োটেক’র টিকা প্রয়োগ করা হবে। যদিও এই দুটি টিকার ফলাফল জানা য়ায়নি। এই দুটি টিকাই স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে সুবিধাভোগীরা কোন টিকা নিবেন তা নিজেরাই পছন্দ করতে পাবেন না। এদিকে আক্রান্তের দিক দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরই ভারতের অবস্থান। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব অনুযায়ী, ভারতে এখন পর্যন্ত এক কোটি পাঁচ লাখ ৪২ হাজার ৮৪১ জন করোনার আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে এক লাখ ৫২ হাজার ৯৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। সূত্র: রয়টার্স।