ভারতে নতুন নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে চলমান বিক্ষোভে কমপক্ষে ২৫ জন নিহত হয়েছেন। কয়েক হাজার বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়েছে।
বিবিসি বাংলা জানায়, এরপরও ক্ষমতাসীন বিজেপি নেতা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পিছু হটার বিন্দুমাত্র কোনো ইঙ্গিত দেননি।
রবিবার এক জনসভায় তিনি বলেছেন, ‘আমাদের উচিত সংসদ এবং এমপিদের সম্মান করা।’
দিল্লিতে নরেন্দ্র মোদি যখন বিতর্কিত এই আইনের পক্ষে তার বক্তব্য দিচ্ছিলেন, ভারতের বিভিন্ন শহরে পুলিশের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও প্রতিবাদ বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে।
চলমান বিক্ষোভে সবচেয়ে বেশি নিহতের ঘটনা ঘটেছে বিজেপি শাসিত রাজ্য উত্তরপ্রদেশে। সেখানে বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালানোর অভিযোগ করা হলেও, পুলিশ বলেছে, তারা কোথাও গুলি চালায়নি।
সম্প্রতি নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাস করে হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকার। এতে বলা হয়েছে- মুসলিম ছাড়া আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে ধর্মীয় অত্যাচারের কারণে ভারতে শরণার্থী হিসেবে হিন্দু, পার্সি, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীরা আশ্রয় নিতে বাধ্য হলে তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।
বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইন বাতিলের দাবিতে ব্যাপক বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়ে উঠে ভারত। বিশেষ করে দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠে। পরে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে রাজধানী নয়াদিল্লিসহ গোটা ভারতে।