যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে এখন ভারতের ৫৬০ কোটি ডলারের সামগ্রী শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পায়। এ সুবিধাই প্রত্যাহার করতে চাইছেন ট্রাম্প। মার্কিন কংগ্রেসকে লেখা চিঠিতে নিজের এমন অবস্থানই পরিষ্কার করেছেন তিনি।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘ভারত সরকার ও জাতিসংঘের বিভিন্ন বিষয় পর্যবেক্ষণ করে আমি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি বুঝতে পেরেছি, ভারত তাদের দেশের বাজারে ব্যবসার ক্ষেত্রে এ ধরনের সুবিধা দেবে না।’
উল্লেখ্য, পুরো দুনিয়াতে যুক্তরাষ্ট্রের জিএসপি কর্মসূচির সবচেয়ে বেশি সুবিধাভোগী দেশগুলোর একটি ভারত। ফলে এ সুবিধা প্রত্যাহার করা অবশ্যই দিল্লির কাছে একটি বড় ধাক্কা। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ভারতের বিরুদ্ধে তার এতো বড় ধরনের পদক্ষেপ এটাই প্রথম।
ট্রাম্পের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হলেও সেটি এখনও কার্যকর করা হয়নি। ট্রাম্প জানিয়েছেন, ভারত আমেরিকাকে একই রকম সুযোগ- সুবিধা দেবে কি-না তা খতিয়ে দেখবে ওয়াশিংটন।
এর আগে গত শনিবারও বাণিজ্য শুল্ক নিয়ে ভারতের কঠোর সমালোচনা করেন ট্রাম্প। এদিন নিজ দল কনজারভেটিভ পার্টির পলিটিক্যাল অ্যাকশন কনফারেন্সে দেওয়া বক্তব্যে ভারতকে ‘উচ্চ শুল্কের দেশ’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন তিনি। হুমকি দেন দিল্লির ওপর ‘পারস্পরিক শুল্ক’ আরোপের।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ভারত একটি উচ্চ শুল্কের দেশ। যুক্তরাষ্ট্রের মোটরসাইকেলের ওপর তারা শতভাগ শুল্ক চাপিয়ে দেয়। কিন্তু তাদের রফতানি পণ্যে কোনও ওয়াশিংটন কোনও শুল্ক আরোপ করে না। ভারতীয় পণ্যের উপর নূন্যতম শুল্ক আরোপ করা উচিত।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘সুতরাং আমি পারস্পরিক শুল্ক চাই। অথবা অন্ততপক্ষে আমি একটি শুল্ক আরোপ করতে চাই।’
ভারতের উচ্চ বাণিজ্য শুল্ক নিয়ে ট্রাম্পের সমালোচনা নতুন নয়। এর আগেও একাধিক বার এ নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। এমনকি ভারতকে ‘ট্যারিফ কিং’ বলেও কটাক্ষ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্পের দাবি, যুক্তরাষ্ট্রের মতো ভারতকেও শুল্কমুক্ত সুবিধা দিতে হবে। সূত্র: এনডিটিভি, জি নিউজ।