চলতি বছরের মে পর্যন্ত টানা ছয় মাস ধরে নিম্নমুখী রয়েছে জাপানের অর্থনীতি। দেশটির চীনমুখী সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং যন্ত্রপাতি ও গাড়ির সরঞ্জাম রফতানি দুর্বল হয়ে পড়ায় রফতানি এতটা মন্থর হয়ে পড়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা। আন্তর্জাতিক চাহিদা হ্রাস পাওয়ায় বাণিজ্যনির্ভর দেশটির রফতানি আরো শ্লথ হয়ে আসতে পারে বলে পূর্বাভাস করা হয়েছে দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয়ের (এমওএফ) প্রতিবেদনে। খবর জাপান টুডে, ইউরোনিউজ।
রফতানি হ্রাস পাওয়ায় শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন জাপানের নীতিনির্ধারকরা। বিশেষত চীন-মার্কিন শুল্কযুদ্ধে সারা বিশ্বের সরবরাহ শৃঙ্খল বিধ্বস্ত হয়ে পড়াসহ বিশ্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ হ্রাস পাওয়ার বিষয়টি জাপানের নীতিনির্ধারকদের বড় মাথাব্যথার কারণ হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
চীন-মার্কিন বাণিজ্য উত্তেজনা ক্রমেই বৃদ্ধি পাওয়ায় জাপানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর মানসিক অবস্থা, বিশেষত দেশটির রফতানিকারকদের মনোবল হ্রাস পেয়েছে। জাপানি রফতানিকারকদের মনোবল ভেঙে পড়াটা রফতানিকারকদের মূলধন ব্যয়কে প্রভাবিত তথা হ্রাস করবে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশটির মিত্সুবিশি ইউএফজে মরগান স্ট্যানলি সিকিউরিটিজের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ হিরোশি মিয়াজাকি। চলমান এ অবস্থা জাপানের অর্থনীতির জন্য নেতিবাচক বলে মন্তব্য করেন এ অর্থনীতিবিদ।
চলমান চীন-মার্কিন বাণিজ্য উত্তেজনা ও জাপানের সম্ভাব্য কর বৃদ্ধির প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে চলতি বছর ও আগামী বছর দেশটির অর্থনীতির সম্প্রসারণ থমকে দাঁড়াতে পারে বলেও রয়টার্সের জরিপে বলা হয়েছে।
সর্বশেষ প্রান্তিকের মতো চলতি প্রান্তিকেও জাপানের রফতানি দুর্বল রয়েছে। একই সময়ে দেশটির আমদানি বেড়েছে। আমদানি বৃদ্ধির অর্থ হলো নিট বাণিজ্য দেশটির মোট দেশজ উৎপাদনকে (জিডিপি) দ্বিতীয় প্রান্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে বলে জানিয়েছেন সিঙ্গাপুরস্থ ক্যাপিটাল ইকোনমিকসের অর্থনীতিবিদ ড্যারেন আ।