সড়কে চাপ কমাতে উড়ন্ত গাড়িকেই প্রধান সমাধান হিসেবে দেখছে উন্নত বিশ্ব। আর তাই তো, এ প্রকল্পে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে অটোমোবাইল প্রতিষ্ঠানগুলো। ২০১৮ সালের শেষ থেকে এখন পর্যন্ত উড়ন্ত গাড়ির পরীক্ষা চালায় যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের কয়েকটি প্রতিষ্ঠান।
এনইসি করপোরেশনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট, নোরিহিকো ইশিগুরো, বলেন, যোগাযোগ খাতে যুগান্তকারী নিদর্শন হয়ে থাকবে উড়ন্ত গাড়ি। সময়ের সাথে সাথে এর প্রযুক্তিগত সংস্কার করা হবে। একই সাথে সেবার ধরনও পরিবর্তন করা হবে।
এর ধারাবাহিকতায় এবার গাড়ি উড়লো জাপানে। ২ বছরের প্রচেষ্টায় এ প্রকল্পের প্রথম সফলতা পায় স্থানীয় প্রতিষ্ঠান কার্টিভেটর। যার বাজারজাতকরণে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
কার্টিভেটরের প্রধান নির্বাহী, তোমোহিরো ফুকুজাওয়া বলেন, প্রাথমিকভাবে এ গাড়িতে বৈদ্যুতিক ব্যাটারি ব্যবহার করা হচ্ছে। তাই লম্বা সময় ধরে উড়তে পারছে না। এখন উড়ন্ত গাড়ি নিয়ে দীর্ঘ পথ পাড়ি দেয়ায়ই আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ। একই সাথে নিরাপত্তা ইস্যুতেও গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।
কার্টিভেটরের উড়ন্ত গাড়িতে বিনিয়োগের আগ্রহ দেখিয়েছে টয়োটাসহ ৮০টির বেশি প্রতিষ্ঠান। অবশেষে চুক্তির মাধ্যমে এ প্রকল্পে বিনিয়োগ করছে, জাপানের বহুজাতিক বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান এনইসি করপোরেশন।
এনইসি করপোরেশনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট, নোরিহিকো ইশিগুরো, বলেন, যোগাযোগ খাতের উন্নয়নে জাপান সরকারের রূপকল্প বাস্তবায়নে ২০২০ সালের মধ্যে বাজারজাতের লক্ষ্যে উড়ন্ত গাড়ি নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে গ্রামাঞ্চলে চালু করা হবে এটি। ২০৩০ সালের মধ্যে চলবে শহরেও।
শিগগির উড়ন্ত গাড়ি বাজারজাতকরণ শুরুর বিষয়ে বেশ আশাবাদী কার্টিভেটর প্রধান। জানান, ২০৩০ সালের মধ্যে রপ্তানির জন্যও প্রস্তুত হবে এ গাড়ি।