যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের মধ্যে একটি ‘সীমিত’ বাণিজ্য চুক্তি হয়েছে। এ চুক্তি অনুযায়ী, মার্কিন কৃষিপণ্যে এবং জাপানের যন্ত্রপাতি ও ডিজিটাল কিছু পণ্যের ওপর থেকে শুল্ক প্রত্যাহার বা কমানো হবে এবং বাজার প্রবেশাধিকার বাড়ানো হবে। তবে এ চুক্তিতে জাপানের গাড়ির বিষয়টি স্থান পায়নি। অথচ এ দুই দেশের মধ্যে কয়েক মাস ধরে চলা বাণিজ্য চুক্তি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল গাড়ি। খবর রয়টার্স, বিবিসি।
বুধবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সাইডলাইনে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ চুক্তি সই করেন। এরপর দেয়া বক্তব্যে ট্রাম্প বলেন, নতুন একটি বিস্তৃত চুক্তি করার ক্ষেত্রে এটি প্রথম পদক্ষেপ। এবং একটি ন্যায্য বাণিজ্য চুক্তি করার দিকে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে এটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপও।
ট্রাম্প জানিয়েছেন, এ চুক্তির ফলে বছরে ৭০০ কোটি ডলারের মার্কিন পণ্যের জন্য জাপানের বাজার উন্মুক্ত হবে। আমেরিকার গরুর মাংস, শূকরের মাংস ও চিজের ওপর শুল্ক কমাবে জাপান। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, বিশ্বের শীর্ষ ও তৃতীয় বৃহত্ অর্থনীতির মধ্যে একটি দারুণ চুক্তি হয়েছে।
যদিও এ চুক্তিতে গাড়ি খাতের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত হয়নি, তবে জাপানের প্রধানমন্ত্রী আবে জানিয়েছেন, তিনি ট্রাম্পের কাছ থেকে আশ্বাস পেয়েছেন যে জাপানি গাড়ি আমদানির ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করবে না যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি হুমকি দিয়েছে যে তারা জাপানি গাড়ির ওপর ২৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করতে যাচ্ছে।
এক সংবাদ সম্মেলনে আবে বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আমার আলোচনা হয়েছে। এটা নিশ্চিত যে গাড়ির ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করা হবে না। তিনি আরো বলেন, এ চুক্তির মধ্য দিয়ে নতুন বাণিজ্য সম্পর্কে জড়াল দুই দেশ। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের উভয়ের অর্থনীতিতে আরো প্রবৃদ্ধি হবে। আবে বলেন, এ চুক্তি বিশ্ব
জাপান সরকারের এক বিবৃতিতে বলা হচ্ছে, আরো আলোচনার মাধ্যমে জাপানি গাড়ির ওপর বিদ্যমান ২ দশমিক ৫ শতাংশ মার্কিন শুল্ক বিলোপেরও চেষ্টা করা হবে। উল্লেখ্য, এত কিছুর পরও বছরে ১৭ লাখ গাড়ি যুক্তরাষ্ট্রে রফতানি করে জাপান।