জাপানের দিকে ধেয়ে আসছে প্রলয়ঙ্করী সুপার টাইফুন হাগিবিস। ১৯৫৮ সালের পর এত শক্তিশালী টাইফুন দেশটিতে আর আঘাত হানেনি। কানোগোয়া নামের শক্তিশালী ওই টাইফুনে বারো শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছিল। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এই দুর্যোগের খবর জানানো হয়েছে।
জাপানের আবহাওয়া অধিদপ্তর তার পূর্বাভাসে জানিয়েছে, শনিবার ঘনবসতিপূর্ণ স্থানীয় দ্বীপ হনশু’তে আঘাত হানতে যাচ্ছে হাগিবিস। প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ১৮০ কিলোমিটার বেগে আঘাত হানতে যাওয়া হাগিবিসের কারণে জাপানে বন্যা ও ভূমিধ্বসের আশঙ্কার কথা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
জাপানের আবহাওয়া অফিস বলছে, তাইফুন হাগিবিস ওগাসাওয়ারা দ্বীপমালার অদূরের সমুদ্রের উপর উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে। আজ শনিবার হাগিবিস পূর্ব ও পশ্চিম জাপানের দিকে অগ্রসর হবে বলে স্যাটেলাইট থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানাগেছে। প্রচণ্ড শক্তিশালী হাগিবিস শেষ পর্যন্ত ভূমিতে আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছে দেশটির আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা।
ইতিমধ্যে টোকিও শহরের হানেদা এবং নারিতা আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরের সকল অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট বাতিল করেছে। এছাড়া জাপান রেলওয়ে জানিয়েছে, তাইফুন হাগিবিসের কারণে বুলেট ট্রেন ও এক্সপ্রেস ট্রেনের বেশ কিছু যাত্রা বাতিল করা হয়েছে। ফলে ট্রেনের সময়সূচীতেও পরিবর্তন হবে।
সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো থেকে স্থানীয় নাগরিকদের সরিয়ে নিতে শুরু করেছে স্থানীয় সংস্থাগুলো। বিভিন্ন ধরনের দোকান, কল কারখানা এবং রেল যোগাযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে। উপকূল এলাকাগুলোতে খোলা হয়েছে আশ্রয় কেন্দ্র। বাধাগ্রস্ত হচ্ছে রাগবি বিশ্বকাপ এবং ফর্মুলা ওয়ান রেসিং প্রতিযোগিতা।
হাগিবিস শব্দটি নেওয়া হয়েছে ফিলিপাইনের ট্যাগালগ ভাষা থেকে যার অর্থ গতি। এর আগে ১৯৫৮ সালে ক্যানোগাওয়া ঘূর্ণিঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় জাপানে। সেবার প্রায় এক হাজার ২০০ মানুষ নিহত বা নিখোঁজ হয়েছিল ক্যানোগাওয়া এর আগ্রাসনে।