চীনে রফতানি হ্রাস পাওয়ায় টানা চতুর্থ মাসের মতো হ্রাস পেয়েছে জাপানের রফতানি। বৈদেশিক চাহিদা দুর্বল হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে প্রথম প্রান্তিকে দেশটিতে অর্থনৈতিক সংকোচনের ঝুঁকি বেড়েছে। খবর রয়টার্স।
বুধবার জাপানের অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত উপাত্তে দেখা গেছে, মার্চে দেশটির রফতানি গত বছরের একই মাসের তুলনায় ২ দশমিক ৪০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে দেশটির রফতানি হ্রাস পেয়েছিল ১ দশমিক ২০ শতাংশ। রয়টার্সের একটি জরিপে মার্চে ২ দশমিক ৭০ শতাংশ রফতানি হ্রাসের পূর্বাভাস দিয়েছিলেন অর্থনীতিবিদরা।
দুর্বল বৈদেশিক চাহিদায় কোম্পানি মুনাফা হ্রাস পাবে, যা ব্যবসায় ব্যয়, শ্রম মজুরি ও ভোক্তা ব্যয় কমিয়ে দিতে পারে। এতে সার্বিক প্রবৃদ্ধি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে শঙ্কা জাগিয়েছে।
বিএনপি পারিবাস সিকিউরিটিজের মুখ্য অর্থনীতিবিদ রিয়ুতারো কনো বলেন, ‘রফতানি হ্রাসের ফলে মূলধন ব্যয় ব্যাপক হারে হ্রাস পেয়েছে এবং বেসরকারি ভোগ কমিয়ে দিয়েছে। এমনটা অব্যাহত থাকলে প্রথম প্রান্তিকে আবারো সংকুচিত হতে পারে জাপানের অর্থনীতি।’
প্রথম প্রান্তিকে অর্থনৈতিক সংকোচন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সরকারকে বেশ চাপে ফেলবে। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সরকারি ঋণে জর্জরিত অর্থনীতি চাঙ্গা করতে আগামী অক্টোবরে বিক্রয় কর হ্রাসের পরিকল্পনা থেকে ফের সরে আসতে হতে পারে আবেকে।
ব্যবসায় ও ভোক্তা ব্যয় বৃদ্ধির ওপর ভর করে ২০১৮ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে বার্ষিক ১ দশমিক ৯০ শতাংশ হারে সম্প্রসারিত হয় জাপানের অর্থনীতি।
গত সপ্তাহে জাপানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ব্যাংক অব জাপান) গভর্নর হারুহিকো কুরোদা আশাবাদ ব্যক্ত করেন, বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি শক্তিশালী হওয়ার ইঙ্গিতে ঘুরে দাঁড়াবে রফতানিনির্ভর জাপানের অর্থনীতি।
তবে চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার বাণিজ্য আলোচনার ফলাফল ও ইইউ থেকে ব্রিটেনের সম্ভাব্য গোলমেলে প্রস্থান বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধিতে কিছুটা ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন কুরোদা।
চলতি সপ্তাহে টোকিও ও ওয়াশিংটনের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য আলোচনার মধ্যেই বুধবার উপাত্তগুলো প্রকাশ করেছে জাপানের অর্থ মন্ত্রণালয়।