গত মে মাসে জাপানের শিল্প উৎপাদন অন্তত সাত বছরের সর্বনিম্নে দাঁড়িয়েছে। নভেল করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ চাহিদায় প্রভাব ফেলেছে এবং সাপ্লাই চেইন বিঘ্নিত হওয়ায় এমনটা হয়েছে বলে মঙ্গলবার প্রকাশিত সরকারি উপাত্তে এ তথ্য উঠে এসেছে। খবর কিয়োদো।
জাপানের অর্থ, বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় এক প্রাথমিক প্রতিবেদনে জানায়, গত মে মাসে কারখানা ও খনিগুলোর মৌসুমভিত্তিক সমন্বয়কৃত উৎপাদন সূচক পূর্ববর্তী মাসের চেয়ে ৮ দশমিক ৪ শতাংশ কমে ৭৯ দশমিক ১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ২০১৩ সালের জানুয়ারি থেকে এ উপাত্ত রাখা শুরুর পর যা সর্বনিম্ন।
ম্যানুফ্যাকচারারদের একটি জরিপে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে যে জুনে উৎপাদন ৫ দশমিক ৭ শতাংশ এবং জুলাইয়ে ৯ দশমিক ২ শতাংশ বাড়বে। তবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যেখানে নভেল করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হচ্ছে, সেখানে এ রকম অতি আশাবাদী পূর্বাভাসের ব্যাপারে সতর্ক থাকার কথা বলছেন মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা। সংবাদ বিবৃতিতে ওই কর্মকর্তা বলেন, এ ধরনের পূর্বাভাসে সাধারণত ইতিবাচক ছবি আঁকা হয়। তবে শিগগিরই উৎপাদন চাঙ্গা হবে—এমনটা কল্পনা করা কঠিন।
নরিনচুকিন রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মুখ্য অর্থনীতিবিদন তাকেশি মিনামি বলেন, মহামারীর অর্থনৈতিক প্রভাব চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধেও বহাল থাকবে। চাহিদায় এমন শ্লথগতি বহাল থাকলে আরো অধিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের আয় সংকুচিত হবে এবং হয় তারা দেউলিয়া হয়ে যাবে বা বড় আকারে কর্মী ছাঁটাইয়ে যাবে।