অসুস্থতার কারণে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব ছেড়ে দেয়া শিনজো অ্যাবের উত্তরসূরি বেছে নিল দেশটির ক্ষমতাসীন দল লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি। বিবিসি ।
বিবিসি জানায়, সোমবার এক ভোটাভুটির মাধ্যমে এলডিপির নেতা হিসেবে নির্বাচিত হন ইয়োশিহিদে সুগা।এর মধ্যে দিয়ে অনেকটা নিশ্চিত হয়ে গেল, জাপানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করতে যাচ্ছে তিনি।
স্বাস্থ্য সমস্যার কারণে গত ২৮ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তের কথা জানান শিনজো আবে। অন্ত্রজনিত ‘আলসারেটিভ কোলাইটিস’ পুরোনো রোগ আবারও তাকে ভোগাচ্ছে।
শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করে যেতে পারবেন না বলে জানান অ্যাবে- ‘আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াব। আমার মনে হচ্ছে, জনগণ বিশ্বাস করে আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছে তা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে আমি পালন করে যেতে পারব না।’
অ্যাবের পদত্যাগের পর জল্পনা কল্পনা তৈরি হয়, কে হতে যাচ্ছেন এলডিপির নতুন নেতা সেই সঙ্গে দেশটির প্রধানমন্ত্রীও।
এমন পরিস্থিতিতে পার্টির পদধারীদের মধ্যে সোমবার সীমিত পরিসরে ভোটাভুটির আয়োজন হয়।
আলজাজিরা জানায়, ভোটাভুটিতে বর্তমান চিফ ক্যাবিনেট সেক্রেটারি ইয়োশিহিদে সুগা পান ৩৭৭টি ভোট। মোট ৫৩৪টি ভোটের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পান তিনি।
দুই প্রতিন্দ্বদ্বী সাবেক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী শিগেরু ইশিবা এবং সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী ফুইমো কিশিদাকে হারান ইয়োশিহিদে।
৭১ বছর বয়সী ইয়োশিহিদে সদ্য পদত্যাগ করা অ্যাবের ঘনিষ্টজন হিসেবে পরিচিত। অ্যাবের উত্তরসুরী হিসেবে ইয়োশিহিদে তার নীতি অনুসরণ করবেন বলে ধারণা করছেন পর্যবেক্ষকেরা।
ক্ষমতাসীন এলডিপি’র পার্লামেন্টারি ভোটে নেতৃত্ব নির্বাচনের পর সমর্থন আদায়ে তা সংসদে তোলা হবে। সংবাদমাধ্যমের খবরগুলোতে বলা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর জন্য প্রার্থী দিতে পারে বিরোধী দলগুলোও। তবে সেটা কেবল আনুষ্ঠানিকতায় পরিণত হতে পারে। সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় প্রধানমন্ত্রী হবেন ক্ষমতাসীন দলের নির্বাচিত নেতাই।
১৯৪৮ সালে এক কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন ইয়োশিহিদে। তার পরিবার ছিল স্ট্রবেরি চাষের সঙ্গে যুক্ত। টোকিওর হুসেই ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা শেষে তিনি রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন।
সংসদীয় নির্বাচনের প্রচারণায় কাজ করার মধ্য দিয়ে যুক্ত হন এলডিপির সঙ্গে। এরপর ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। অবিচল প্রচেষ্টা ও নিষ্ঠার কারণে দলের শীর্ষ পর্যায়ে চলে আসেন ইয়োশিহিদে।