আজ বিশ্ব পুরুষ দিবস। ‘পুরুষ ও ছেলেদের স্বাতন্ত্র্য’, এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এবারের পুরুষ দিবস পালিত হচ্ছে। অনেকেই বলেন পুরুষের জন্য আলাদা কোনো দিবস নেই, তাহলে নারীর জন্য আলাদা দিবস কেন? কিন্তু তারা হয়তো জানেন না, পুরুষদের জন্যও একটি বিশেষ দিন আছে। আর সেটিই হলো আজকের এই দিন (১৯ নভেম্বর)। আন্তর্জাতিক ভাবে পালিত হচ্ছে দিবসটি।
১৯২২ সাল থেকে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নে ‘রেড আর্মি অ্যান্ড নেভি ডে’ পালন করা হতো। পুরুষদের বীরত্ব আর ত্যাগের প্রতি সম্মান জানিয়েই মূলত এই দিবস। নব্বই দশকের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ও মাল্টায় কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ফেব্রুয়ারিতে পুরুষ দিবস পালনের জন্য বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। পরবর্তী সময়ে ১৯ নভেম্বর বিশ্বব্যাপী পুরুষ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বিশ্বব্যাপী পুরুষদের মধ্যে লিঙ্গভিত্তিক সমতা, বালক ও পুরুষদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা এবং পুরুষের ইতিবাচক ভাবমূর্তি তুলে ধরতেই আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস উদযাপিত হয়। প্রতি বছর ১৯ নভেম্বর বিশ্বের ৭০টিরও বেশি দেশে পালন করা হয় দিবসটি। এই দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, কানাডা, ভারত, পাকিস্তান, ক্রোয়েশিয়া, জ্যামাইকা, কিউবা, স্কটল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, মাল্টা, কানাডা, ডেনমার্ক, নরওয়ে, অস্ট্রিয়া, ইউক্রেন ইত্যাদি। বাংলাদেশেও দিবসটি ছোট পরিসরে পালিত হয়।
প্রতি বছরই বেশ ঘটা করে পালন করা হয় নারী দিবস। বর্তমান বিশ্বে দিবসটির গুরুত্ব অনেক। এ নিয়ে তর্কও আছে। আর তাদের জন্য পুরুষ দিবসের খুটিনাটি জানা দরকার। চলতি বছর আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়, ‘পুরুষ ও ছেলেদের স্বাতন্ত্র্য’।
২০১৮ সালে দিবসটির প্রতিপাদ্য ছিল ‘আদর্শ পুরুষ চরিত্র’। সমাজে ও পরিবারে পুরুষের অবদানকে উদযাপন করতেই পুরুষ দিবসের সূচনা হয়। এছাড়া পুরুষ ও ছেলেদের স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি, লিঙ্গ সম্পর্ক, লিঙ্গ সাম্য, আদর্শ পুরুষ চরিত্রকে তুলে ধরাও এ দিবস পালনের উদ্দেশ্য।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ইউরোলজি বিভাগের অ্যান্ড্রলজি ইউনিট বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস পালনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। শুধু আদর, সোহাগ আর ভালোবাসায় একটি শিশু বেড়ে উঠতে পারে না। সমাজে মাথা উঁচু করে বাঁচতে হলে তাকে ব্যক্তিত্ববান হতে হয়, তাকে শক্তিশালী হতে হয়।
বাস্তব জগতকে চিনতে হলে এবং ঝুঁকি নিয়ে শিখতে হলে পুরুষের ভূমিকা প্রয়োজন। শিশুরা এসব শিখে তার পিতা ও পরিবারের পুরুষ সদস্যদের কাছ থেকে। ছেলে সন্তান তথা পুরুষের পরিপূর্ণ উন্নয়নে যত্নবান হওয়ার জন্য এবং তা মনে করিয়ে দেয়ার জন্য দিবসটি পালন করছে বলে জানিয়েছে বিএসএমএমইউর অ্যান্ড্রলজি ইউনিট।