প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সৌদি আরব, জাপান ও ফিনল্যান্ডে ১২ দিনের সরকারি সফর শেষে দেশে ফিরেছেন। তাকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট শনিবার সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটের দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী ও তার উপ-প্রেসসচিব হাসান জাহিদ তুষার গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিংকি থেকে কাতার এয়ারলাইনসের একটি বিমান স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় প্রধানমন্ত্রী ও তার সফর সঙ্গীদের নিয়ে কাতারের রাজধানী দোহার উদ্দেশে হেলসিংকি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
সুইডেনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. নাজমুল ইসলাম বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।
এরপর বিমানটি কাতারের স্থানীয় সময় রাত ১১টা ৫০ মিনিটে দোহা হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
দোহায় যাত্রা বিরতির পর প্রধানমন্ত্রী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে শনিবার ভোরে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন।
ফিনল্যান্ডে অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৪ জুন ফিনিস প্রেসিডেন্ট সাউলি নিনিস্তোর সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হন এবং ৫ জুন অল ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগ ও ফিনল্যান্ড আওয়ামী লীগ তার সম্মানে আয়োজিত এক সংবর্ধনায় যোগ দেন।
সৌদি আরবে তিন দিনের সফর শেষে শেখ হাসিনা গত ৩ জুন ত্রিদেশীয় সফরের দ্বিতীয় গন্তব্য জেদ্দা থেকে হেলসিঙ্কি পৌঁছেন।
সৌদি আরবে তিন দিনের সফরকালে প্রধানমন্ত্রী বাদশাহর আমন্ত্রণে মক্কায় অনুষ্ঠিত ১৪তম ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেন।
এছাড়া তিনি মক্কায় পবিত্র ওমরাহ পালন এবং মদিনায় প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা:)-এর রওজা জিয়ারত করেন।
প্রধানমন্ত্রী গত ২৮মে ত্রিদেশীয় সফরের প্রথম গন্তব্য জাপানের রাজধানী টোকিও যান। জাপানে চারদিন অবস্থানকালে শেখ হাসিনা ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে আড়াই বিলিয়ন ডলারের দ্বিপক্ষীয় চুক্তিসহ ৪০টি ওডিএ চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রী ‘ফিউচার ফর এশিয়া’ বিষয়ক নিক্কেই সম্মেলনেও যোগ দেন। ওই সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। সফরে তিনি জাপানের ব্যবসায়ী নেতৃতৃন্দের সঙ্গেও গোল টেবিল বৈঠক করেন।
শেখ হাসিনা হলি আর্টিজান হামলায় হতাহতদের পরিবার এবং জাইকার প্রেসিডেন্ট শিনিচি কিতাওকার সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন।