আইএসে যোগ দিতে যুক্তরাজ্য ত্যাগ করা শামীমা বেগমকে দেশটিতে ফেরাতে চান না তার বাবা আহমেদ আলী। ব্রিটিশ সরকার থেকে মেয়ের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার বিষয়টিও তিনি সমর্থন করেছেন।
মেয়ের বিষয়ে এই প্রথম মুখ খুললেন ৬০ বছর বয়সী আহমেদ আলী। তিনি বলেন, ‘জঙ্গি মেয়ের কারণে আমরা বদ্ধ অবস্থায় আছি।’
২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে স্কুলপড়ুয়া তিন তরুণী যুক্তরাজ্য থেকে পালিয়ে সিরিয়ায় আইএসের সঙ্গে যোগ দেন। এদের মধ্যে শামীমা বেগম (১৯) এবং খাদিজা সুলতানা (২০) ছিলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত। তারা পূর্ব লন্ডনের বাংলাদেশি-অধ্যুষিত বেথনাল গ্রিন একাডেমি নামের একটি স্কুলের ছাত্রী ছিলেন।
‘মিরর’ জানিয়েছে, বাংলাদেশে শামীমাদের বাড়ি সুনামগঞ্জে। ব্রিটেনের মতো বাংলাদেশও জানিয়ে দিয়েছে, শামীমাকে ঢুকতে দেওয়া হবে না। তিনি কখনো বাংলাদেশের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেননি।
‘আমি জানি ব্রিটিশ সরকার তাকে ফিরতে দিতে চায় না। এতে আমার কোনো সমস্যা নেই,’ দ্য মেইলকে বলেন শামীমার বাবা।
‘যদি সে অনুতপ্ত হতো, তাহলে আমি মানুষের কাছে দুঃখ প্রকাশ করতাম। কিন্তু সে তার ভুল স্বীকার করে না।’
আহমেদ আলীর দুই বিয়ে। দুই সংসারে তার চার মেয়ে। শামীমার মায়ের নাম আসমা। মেয়েরা শুধু যুক্তরাজ্যে থাকলেও আহমেদ আলী মাঝে মাঝে বাংলাদেশেও আসেন।
শামীমা এখন সিরিয়ার একটি শরণার্থীশিবিরে আছেন। সেখানে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। কয়েক দিন আগে তিনি একটি সংবাদমাধ্যমের কাছে ব্রিটেনে ফিরতে চাওয়ার কথা বলেন। আইএসে যোগ দেওয়ায় তার কোনো আক্ষেপ নেই বলেও জানান।
সিরিয়ায় গত কয়েক মাসে আইএস কোণঠাসা অবস্থায় আছে। যারা বেঁচে আছে, তারা কুর্দি সেনাদের কাছে আত্মসমর্পণ করছে।