স্পেনের নিম্নকক্ষ পার্লামেন্টে ইউথেনেশিয়া বা ইচ্ছামৃত্যুর প্রস্তাব ১৯৮-১৩৮ ভোটে পাস হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে, ইচ্ছামৃত্যু আইন প্রণয়নে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল দেশটি। খবর রয়টার্স।
বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) স্পেনের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে ইচ্ছামৃত্যু প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে, স্পেনের প্রধানমন্ত্রী দিনটিকে ঐতিহাসিক বলে মন্তব্য করেছেন। নিম্নকক্ষের সম্মতি পাওয়ার পর এখন বিলটি উচ্চকক্ষ বা সেনেটে উঠবে। সেখানে পাস হলেই প্রস্তাবটি আইনে পরিণত হবে। তবে, স্পেনে ইচ্ছামৃত্যুর বিল পাস করানো খুব সহজে হয়নি। রোমান ক্যাথোলিকদের দেশে বিভিন্ন পর্যায় থেকে বাধা এসেছে।
ইচ্ছামৃত্যু আইনের অধীনে, গুরুতর অসুস্থ কোনো রোগী ইচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানাতে পারবেন। চিকিৎসকেরা সম্মত হলে ইচ্ছামৃত্যুর প্রক্রিয়া শুরু হবে।
এর আগে, ২০১৯ সালে স্পেনে ইচ্ছামৃত্যু নিয়ে একটি সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। সেখানে দেখা গিয়েছিল, দেশের সিংহভাগ মানুষ ইচ্ছামৃত্যুর পক্ষে। তবে বিরোধিতাও ছিল। দেশের কনজারভেটিভ পার্টি এবং অতি দক্ষিণপন্থি দল এই বিলের চরম বিরোধিতা করেছে।
তাদের বক্তব্য – খ্রিস্টান ধর্মের প্রথা অনুযায়ী এমন আইন মেনে নেওয়া যায় না। ধর্ম আত্মহত্যাকে সমর্থন করে না। বামপন্থি এবং মধ্য দক্ষিণপন্থিরা অবশ্য এই বিলের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। তাদের বক্তব্য – যে ব্যক্তির চিকিৎসা আর সম্ভব নয়। যিনি অসুখে তীব্র কষ্ট পাচ্ছেন। তাঁর ইচ্ছামৃত্যু বেছে নেওয়ার অধিকার থাকা উচিত।
এখন, ইচ্ছামৃত্যু স্পেনে দণ্ডনীয় অপরাধ। এই অপরাধে ১০ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আগামী বছরের গোড়ার দিকে সেনেটেও ইচ্ছামৃত্যুর বিল পাস হয়ে যাবে।