ইউরোপের সঙ্গে সম্পর্কোচ্ছেদ বা ব্রেক্সিট চুক্তিতে ব্যর্থ হওয়ায় দুই সপ্তাহ আগেই ৭ জুন দলীয় প্রধানের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। সে ঘোষণা অনুযায়ী, ১ হাজার ৫৯ দিন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা থেরেসা মে আজ ৭ জুনেই ক্ষমতাসীন দল কনজারভেটিভ পার্টির প্রধানের পদ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সরে দাঁড়িয়েছেন। এর ফলে নিয়ম অনুযায়ী তিনি আর প্রধানমন্ত্রী থাকছেন না। কিন্তু তার উত্তরসূরী নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন তিনি। খবর বিবিসি।
শুক্রবার বিকেলে ‘১৯২২ কমিটি’ নামের কমিটির ভারপ্রাপ্ত দুই প্রধান-চার্লস ওয়াকার ও ডেইম শেরিল গিলানের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে সাক্ষাৎ করে পদত্যাগপত্র জমা দেন মে।
ব্রেক্সিট ইস্যুতে পৌঁছাতে ব্যর্থ হওয়ায় দুই সপ্তাহ আগেই এই ঘটনাকে দুঃখজনক বলে জানিয়ে পদত্যাগের ঘোষণা দেন মে। সে সময় তিনি জানান, ব্রেক্সিট ইস্যুকে সামনে এগিয়ে নিতে নতুন কারো নেতৃত্ব প্রয়োজন।
এদিকে মে সরে দাঁড়ানোর পর পরই নতুন নেতা নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয় ওই কমিটি। ইতিমধ্যে ১১ কনজারভেটিভ এমপি এই তালিকায় আছেন। যাদের মধ্যে থেকে দলীয় প্রধান বা কার্যত যাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করা হবে। আগামী ২২ জুলাই নতুন দলীয় প্রধানের নাম ঘোষণা করা হতে পারে।
২০১৬ সালের জুলাইতে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হন থেরেসা মে। তার মেয়াদের বেশিরভাগ সময় ব্যয় হয় ব্রেক্সিট চুক্তি বাস্তবায়নের পিছনে।
ব্রেক্সিট গণভোটে ইইউর সঙ্গে থাকার পক্ষেই প্রচার চালিয়েছেন মে। কিন্তু সেই গণভোটে জনগণ বিচ্ছেদের পক্ষে যে রায় দিয়েছে, তা কার্যকরের দৃঢ় প্রতিজ্ঞা ব্যক্ত করেই প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন মে।
কিন্তু দলীয় অনৈক্যের কারণেই বারবার চেষ্টা করেও ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন করতে পারেননি মে। চলতি বছরের ২৯ মার্চ ব্রেক্সিট কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। বিচ্ছেদের দিনক্ষণ দুই দফা পিছিয়ে আগামী ৩১ অক্টোবর করা হয়েছে।