যুক্তরাষ্ট্রে নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে রাশিয়া ও চীন প্রচেষ্টা জোরদার করেছে বলে অভিযোগ করে আসছে দেশটির কিছু রাজনৈতিক। দেশটির গোয়েন্দারাও সেই পালে হাওয়া দিচ্ছে।
সবচেয়ে মজার বিষয় আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে মিত্র রাশিয়া আর চীন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে বিপরীত ফলাফল আশা করছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল কাউন্টার ইন্টিলিজেন্স অ্যান্ড সিকিউরিটি সেন্টারের পরিচালক উইলিয়াম ইভানিয়া বলেন, “আমাদের মূল্যায়নে দেখা গেছে চীন চায় ট্রাম্প নির্বাচনে যেন না জেতে। কারণ তারা তাকে ‘অনিশ্চিত’ ব্যক্তি মনে করে।”
তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, চীন এ লক্ষ্যে নির্বাচন প্রভাবিত করতে তৎপরতা বাড়িয়েছে। এ প্রসঙ্গে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় ট্রাম্পের পদক্ষেপের সমালোচনা, হিউস্টনে চীনের কনস্যুলেট বন্ধ এবং হংকং ও দক্ষিণ চীন সাগরে চীনা কার্যক্রমে যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপের বিষয় উল্লেখ করেন ওই কর্মকর্তা।
ইভানিয়া বলেন, ‘চীন মনে করছে, এই সকল বিষয়ই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে।’
এদিকে ট্রাম্প বেশ উৎসাহের সঙ্গে এই সর্তকতার সঙ্গে একমত পোষণ করেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘চীন এমন এক নির্বাচন দেখতে চাচ্ছে যেখানে ট্রাম্প ঘুমন্ত জো বাইডেনের কাছে হেরে গেছে।’
এদিকে ইভানিয়া বলেছেন, রাশিয়া চায় ট্রাম্প পুনর্নির্বাচিত হোক। মস্কো ডেমাক্রেটিক প্রার্থী জো বাইডেনের নির্বাচনী প্রচারণা ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
কিন্ত্র ট্রাম্প তা প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, তার মতো আর কোনো মার্কিন নেতাই রাশিয়ার বিষয়ে এতো কঠোর নয়।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের নির্বাচনে ট্রাম্পের জয়ের পেছনে রুশ হস্তক্ষেপের অভিযোগ উঠেছিল।
ইভানিয়া বলেন, নির্বাচনে বিদেশি হস্তক্ষেপ প্রচেষ্টা আমাদের গণতন্ত্রের জন্যে প্রত্যক্ষ হুমকি।