সম্প্রতি প্রণীত এক প্রতিরক্ষা শ্বেতপত্রে জাপানী কর্মকর্তারা, উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন কর্মসূচী সম্পর্কে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এই বার্ষিক প্রতিবেদনে, উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং সে দেশের পারমানবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন কর্মসূচীকে এক “নয়া পর্যায়ের হুমকি” বলে অভিহিত করা হয়। এতে উল্লেখ করা হয় যে, উত্তর কোরিয়া কোন যান অথবা উৎক্ষেপণ মঞ্চ সজ্জিত ডুবোজাহাজ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের মাধ্যমে আকস্মিক হামলা চালানোর ক্ষমতা বৃদ্ধির প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
খসড়াটিতে বলা হয় যে, গত ৪ঠা জুলাই উত্তর কোরিয়ার নিক্ষিপ্ত ব্যালিষ্টিক ক্ষেপণাস্ত্রটি আন্তঃ মহাদেশীয় ব্যালিষ্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বা আইসিবিএমে’র শ্রেণীভুক্ত বলে মনে করা হয়।
শ্বেতপত্রে উল্লেখ করা হয় যে উত্তর কোরিয়া সাফল্যজনকভাবে তার ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা বৃদ্ধি করে পারমানবিক অস্ত্র ক্ষুদ্রাকৃতি করার উপায় বের করতে সক্ষম হলে, দেশটি যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কৌশলগত নিরোধক ক্ষমতা অর্জন করতে পেরেছে বলে মনে করতে শুরু করতে পারে।
এই শ্বেতপত্রে আরও বলা হয় যে উত্তর কোরিয়া যদি তার নিরোধক ক্ষমতার অতিরিক্ত মূল্যায়ন করে, তবে তা’ জাপানের জন্য অত্যন্ত অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে।
খসড়াটিতে, গত ডিসেম্বর মাসে পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে প্রথম আবির্ভূত চীনা বিমানবাহী জাহাজ “লিয়াওনিং”এর কথাও উল্লেখ করা হয়। এই বিমানবাহী জাহাজটি হচ্ছে, চীনের বর্ধিত নৌ সামরিক শক্তির প্রতীক স্বরূপ। শ্বেতপত্রটিতে বলা হয় যে, চীন জাপান সাগরে তার নৌ তৎপরতা ত্বরান্বিত করতে পারে।
উল্লেখ্য যে, এ বছরের প্রতিরক্ষা শ্বেতপত্রটিকে আগামী মাসের প্রথম দিকে মন্ত্রীসভায় পেশ করা হবে।
সূত্র: এনএইচকে ওয়ার্ল্ড বাংলা