জাপানের পরিবেশ মন্ত্রণালয় বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য দায়ী নিঃসরণ বিষয়ে কিভাবে কার্বন মূল্য ব্যবস্থা ঠিক করে নেয়া যায়, তা পরীক্ষা করে দেখার একটি গবেষণা গ্রুপ গঠন করবে। ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন ডাই অক্সাইড ও অন্যান্য ক্ষতিকর গ্রিনহাউজ গ্যাসের নিঃসরণ ২০১৩ সালের পরিমাণের ৮০ শতাংশে কমিয়ে আনায় সরকারের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
জানুয়ারি মাসে একটি বিশেষজ্ঞ প্যানেলে অনুষ্ঠিত আলোচনার ভিত্তিতে মন্ত্রণালয় মনে করছে কার্বনের একটি মূল্য ব্যবস্থা সরকারের প্রবর্তন করা উচিৎ, যার উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন কোম্পানি ও গৃহস্থালিকে কার্বন মূল্য পরিশোধ করতে হবে। কি পরিমাণ কার্বন ডাই অক্সাইড এরা বায়ুমণ্ডলে নিঃসরণ করছে, সেই ভিত্তিতে পরিশোধ মূল্য নির্ধারণ করা হবে। চলতি মাসের শেষ দিকে মন্ত্রণালয় বিশেষজ্ঞদের একটি গবেষণা গ্রুপ গঠনের পরিকল্পনা করছে।
সেই দলে পরিবেশ, অর্থনীতি ও বাজেট সংক্রান্ত এলাকার বিশেষজ্ঞরা অন্তর্ভুক্ত থাকবেন বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। মোট ব্যয় কিভাবে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও গৃহস্থালির মধ্যে ভাগাভাগি করে নেয়া হবে এবং অর্থনীতি ও পরিবেশের মধ্যে কিভাবে ভারসাম্য গড়ে নেয়া যাবে, সেসব বিষয় নিয়ে তাঁরা আলোচনা করবেন। কার্বনের মূল্যে সাধারণত কার্বন কর কিংবা নিঃসরণের অনুমতি দেয়া আজ্ঞাপত্র কেনার প্রয়োজনীয়তা অন্তর্ভুক্ত থাকে, ক্যাপ এন্ড ট্রেড নামে যেটা পরিচিত। ইস্পাত ও বিদ্যুৎ শক্তি কোম্পানির মত বড় আকারের নিঃসরণকারীরা এই ব্যবস্থার কঠোর বিরোধিতা করছে।
মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, এরকম একটি মডেল তাঁরা ঠিক করে নিতে চাইছেন যেটা কিনা নিঃসরণ লক্ষ্য এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি – দুটোই অর্জন করতে পারবে।
সূত্র: এনএইচকে ওয়ার্ল্ড বাংলা