পাকিস্তানের ১৩তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন ভারতের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক থাকা দাঁতের চিকিৎসক ডা. আরিফ আলভি।
রবিবার ইসলামাবাদে প্রেসিডেন্ট হাউস আইওয়ান-ই-সাদরে আরিফ আলভিকে শপথবাক্য পাঠ করান পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি মিয়া সাকিব নিসার।
এর আগে, গত ৪ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টায় দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) পার্টির জ্যেষ্ঠ নেতা আলভি ৪৩০ ভোটের মধ্যে পেয়েছেন ২১২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন।
আলভী পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে দেশটির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। ছাত্রজীবনে লাহোরের একটি ডেন্টাল কলেজের ছাত্র ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এদিকে, বৈরী প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে প্রেসিডেন্ট ডা. আরিফ আলভির। তার আত্মজীবনীর বরাত দিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম জানায়, আলভির বাবা ডা. হাবিব-উর-রেহমান ইলাহি আলভি স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর দাঁতের চিকিৎসক ছিলেন।
কেবল নেহেরুর দাঁতের চিকিৎসকের সন্তান হিসেবে নয়, ভারতের সঙ্গে তার আরও একটা সম্পৃক্ততা রয়েছে। তিনি হলেন আরেকজন প্রেসিডেন্ট যিনি দেশ বিভাগের পর ভারত থেকে পাকিস্তানে পাড়ি জমান। তার পূর্বসূচি মামনুন হোসাইনের পরিবার ভারতের আগ্রা এবং পারভেজ মোশাররফের পরিবার নয়া দিল্লি থেকে পাকিস্তানে যান। আরিফ আলভির বাবা ডা. হাবিব উর রহমান আলভি দেশভাগের আগে জওহরলাল নেহেরুর দাঁতের চিকিৎসক ছিলেন।
প্রেসিডেন্ট আলভির পুরো নাম ডা. আরিফ উর রেহমান আলভি। তিনি ১৯৪৯ সালে পাকিস্তানের করাচিতে জন্মগ্রহণ করেন, দেশ বিভাগের পর তার বাবা সেখানে স্থায়ী হন।
১৯৬৯ সালে আলভি জেনারেল আইয়ুব খানের সামরিক শাসনামলে ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের একজন প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য তিনি। ১৯৯৭ ও ২০০২ সালের দেশটির সাধারণ নির্বাচনে সিন্ধুর প্রাদেশিক পরিষদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তবে ওই নির্বাচনে জয় লাভ করেননি। পরে ২০১৩ সালের নির্বাচনে করাচি থেকে নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে পিটিআই’য়ের সহ-সভাপতি ও পরে ২০০৬ সালে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন আলভি।
Check Also
১৫ই আগষ্ট আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন জাপানি নভোচারী ফুরুকাওয়া
জাপানের নভোচারী ফুরুকাওয়া সাতোশির দ্রুত হলে ১৫ই আগষ্ট আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে দ্বিতীয় ভ্রমণ নির্ধারণ করা …