পর্দা নামলো রিও দে জেনেইরো অলিম্পিকের। মারাকানা স্টেডিয়ামে জমকালো সমাপণী অনুষ্ঠান দিয়ে শেষ হলো ১৭ দিনের মহাযজ্ঞ। ক্ষণ গণনা শুরু ২০২০ সালের আয়োজক টোকিওর।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মতো সমাপনীতেও চোখ ধাঁধানো পারফরম্যান্স দিয়ে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দেয় ব্রাজিল। ব্রাজিলের ঐতিহাসিক মারাকানা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রোববার ভোর পাঁচটায় দুই ঘণ্টাব্যাপী সমাপনী অনুষ্ঠানে আলো ও রঙের ঝলকানিতে গোটা স্টেডিয়ামে মুগ্ধতা ছড়ানো হয়। নাচ-গানে বিমোহিত করা হয় দর্শকদের। সমাপনী অনুষ্ঠানের শুরুতেই ২৭ জন শিশু ব্রাজিলের জাতীয় সঙ্গীতে কণ্ঠ মেলায়। এরপর ব্রাজিলের সবচেয়ে জনপ্রিয় শিল্পী কারমেন মিরান্ডা সঙ্গীত পরিবেশন করেন। তারপর ২০৭টি দেশের প্রতিনিধিরা মঞ্চে এসে উপস্থিত হন।
অধিকাংশ দেশের সোনাজয়ীরাই নিজ দেশের পতাকা বহন করেন। তবে ব্রাজিলের পতাকা বহন করে দুটি রৌপ্য জেতান কুইরোজ। রিও অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসে দর্শকদের দুয়োধ্বনির মুখে পড়েন ব্রাজিলের অন্তবর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট মিকেল তেমের। যে কারণে সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি আসেননি। ব্রাজিলের প্রতিনিধিত্ব করা রিওর মেয়র এডুয়ার্ডো পায়েসও দর্শকদের দুয়োধ্বনির মুখে পড়েন।
জাপানের প্রতিনিধিত্ব করেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। টোকিও প্রতিনিধি হিসেবে গভর্নর ইউরিকো কোইকে উপস্থিত হন। রঙিন-বর্ণিল অনুষ্ঠানের পর বিদায়-রাগিনী বেজে ওঠে রিওতে। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির পক্ষ থেকে টোকিওর গভর্নর ইউরিকো কোইকের হাতে অলিম্পিক পতাকা তুলে দেয়ার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ইতি ঘটে রিও অলিম্পিকের।
সমাপনী অনুষ্ঠানে আয়োজক দেশ ব্রাজিলের জন্য প্রশংসা ঝরে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির প্রেসিডেন্ট থমাস বাখের কণ্ঠে।