যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প জয়লাভ করার পর এখন আনুষ্ঠানিকভাবে তার দায়িত্ব নেওয়ার আর বাকী মাত্র চারদিন। এরই মধ্যে নানা সংঘাত, হুমকি আর হঁশিয়ারির হট্টগোলে পড়েছেন ট্রাম্প। ট্রাম্প তার আগের অনেক প্রেসিডেন্টের তুলনায়ই কম জনসমর্থন নিয়ে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিচ্ছেন। আমেরিকানদের অনেকেই তার এ দায়িত্ব সামাল দেওয়ার সক্ষমতা নিয়ে সন্দিহান। দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছেন ট্রাম্প। সংবাদ জগতের সঙ্গেও তার আছে দ্বন্দ্ব। রাশিয়ার প্রতি তার উষ্ণ মনোভাবের কারণে এটি নিয়েও সমালোচনার ঝড় মোকাবেলা করে চলতে হচ্ছে তাকে।
তাইওয়ান নিয়ে ট্রাম্পের কার্যকলাপে তাকে হুঁশিয়ারি দিচ্ছে চীন। তাইওয়ান নিয়ে ট্রাম্প চীনকে উস্কানি দেওয়ার চেষ্টা করলে বেইজিং এর শক্ত জবাব দেওয়ার হুমকিও দিয়েছে এরই মধ্যে। ওদিকে, মেক্সিকো হুমকি দিয়ে বলেছে, ট্রাম্প সীমান্ত কর আরোপ করলে এর জবাব দেবে তারা।
অন্যদিকে, তার ওপর ডেমোক্র্যাটদের আক্রোশ তো আছেই। সবচেয়ে বাঘা বাঘা ডেমোক্র্যাটরাও ট্রাম্পের প্রেসিডেন্সির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে ছাড়েননি। দায়িত্ব নিতে চলা যে কোনও প্রেসিডেন্টের ক্ষেত্রেই এত বিতর্ক, এত সংকট নতুন হোয়াইট হাউজের জন্য আগাম রাজনৈতিক বিপর্যয় ঘনিয়ে আসার সংকেতই বয়ে আনবে। সাধারণভাবে এত হট্টগোলের ঘেরাটোপে কোনও রাজনীতিবিদের মুষড়ে পড়ার কথা। কিন্তু ট্রাস্প দিব্যি কোনওকিছুর তোয়াক্কা না করেই চলছেন।
দেশে প্রেসিডেন্সির দুই শতাব্দী ধরে যে রীতি চলে আসছে তাও ট্রাম্প ওলট-পালট করে দিতে মনস্থির করেছেন। তার শাসন চালানোর সক্ষমতা নিয়ে যারা প্রশ্ন তুলেছেন তাদের দিকে নজর দেওয়ারও যেন তার সময় নেই।