আগামী ১ নভেম্বরেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের করোনা-প্রতিষেধক চলে আসার কথা জানিয়েছে সেন্টার ফর ডিজ়িজ় কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি)। তবে প্রথম দিকে ভ্যাকসিনের সংখ্যা সীমিত হতে পারে। সে কারণে, সুষ্ঠু ভাবে তা বিলির জন্য প্রাথমিক রূপরেখা তৈরি করতে বিভিন্ন প্রদেশের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে সিডিসি।
ভয়েস অফ আমেরিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, আমেরিকার ৫০টি প্রদেশ এবং পাঁচটি বড় শহরের প্রশাসনের কাছে ওই নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। নাম না জানালেও আপাতত দু’টি ভ্যাকসিন বাজারে আনার প্রস্তুতি নিচ্ছে সংস্থাটি। আর এই ঘোষণার পরই ভ্যাকসিন ঘিরে কৌতূহল বাড়ছে। জানা গিয়েছে, ওই দু’টি ভ্যাকসিন মাইনাস ৭০ ডিগ্রি এবং মাইনাস ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সংরক্ষণ করা হয়। ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা ফাইজ়ার এবং মর্ডানার তৈরি প্রতিষেধক দু’টিও ঠিক এই তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হয়। ফলে এই দুই সংস্থার তৈরি প্রতিষেধকের বাজারে আসার সম্ভাবনাই জোরদার হচ্ছে।
আরও জানা গেছে, সরকারিভাবে বিনামূল্যে মিলবে ওই প্রতিষেধক। যাদের জীবনের ঝুঁকি বেশি, তাদেরকে প্রথমে ওই প্রতিষেধক দেওয়া হবে। পাশাপাশি চিকিৎসক, নার্স, হাসপাতাল কর্মী, নিরাপত্তা কর্মীদের মতো প্রথম সারির করোনা-যোদ্ধাদেরও প্রাথমিক তালিকায় রাখা হয়েছে।
রাশিয়া, চীনের পর আমেরিকা সম্প্রতি বাজারে ভ্যাকসিন আনার কথা ঘোষণা করেছে। তবে ট্রায়াল শেষের আগেই এ ভাবে বিভিন্ন প্রতিষেধককে ছাড় দেওয়ার ঘটনায় আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। কিন্তু ভ্যাকসিনের নিরাপত্তা ও কার্যকারিতা প্রমাণের আগেই এ ভাবে ঝুঁকি নেওয়ার কারণ কী? বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, নভেম্বরে আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই একটা চমক দিতে চাইছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সে কারণেই অক্টোবরের শেষে প্রতিষেধক আনার জোর তোড়জোড় চলছে।