১৯৮১ সালে প্রিন্স চার্লস ও লেডি ডায়ানার বিয়েতে খরচ হয়েছিল ১১ কোটি ডলার। এখন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল বিয়ে হিসেবে পরিচিত এটি। অন্যদিকে, বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ডিভোর্সের রেকর্ড করতে চলেছেন অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজস ও তার স্ত্রী ম্যাককেনজি বেজস। অন্তত সাড়ে তিন হাজার কোটি ডলার দামের ডিভোর্সে সম্মত হয়েছেন তারা। খবর বিবিসির।
বেজস দম্পতির আগে সবচেয়ে ব্যয়বহুল ডিভোর্সের রেকর্ড ছিল আর্ট ডিলার অ্যালেক উয়াইল্ডেন্সটেইন ও তার স্ত্রী জোসেলিন উয়াইল্ডেন্সটেইনের। ১৯৯৯ সালে ৩৮০ কোটি ডলারের (বর্তমান সময়ে যার মূল্য ৫৭০ কোটি ডলার) বিনিময়ে ডিভোর্স হয় তাদের।
বিবিসি জানিয়েছে, ডিভোর্স চুক্তি অনুসারে, অ্যামাজনের ৪ শতাংশ শেয়ারের মালিকানা পাবেন ম্যাককেনজি। কিন্তু পরিচালনা পর্ষদে তার ভোট দেওয়ার অধিকার পাবেন জেফ। এর আগে অ্যামাজনের ১৬.৩ শতাংশের মালিকানা ছিল জেফের।
নিজের প্রথম টুইটে ম্যাককেনজি জানিয়েছেন, তিনি দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট ও জেফের স্পেস ভ্রমণ বিষয়ক সংস্থা ব্লু অরিজিন থেকেও নিজের মালিকানা প্রত্যাহার করে নেবেন।
ম্যাককেনজি বলেন, ডিভোর্সের প্রক্রিয়া শেষ করতে পেরে তিনি কৃতজ্ঞ।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৪ সালে অ্যামাজন প্রতিষ্ঠা করেন বেজস। এর আগ থেকেই ম্যাককেনজির সঙ্গে সম্পর্ক তার। অ্যামাজনের প্রথম কর্মকর্তাদের একজন ছিলেন ম্যাককেনজি। গত বছর প্রতিষ্ঠানটির বার্ষিক আয় ছিল ২৩ হাজার ২৮০ কোটি ডলার।
সম্প্রতি গুঞ্জন ছড়িয়েছে, ফক্স টিভির সাবেক উপস্থাপিকা লরেন সানচেজের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন জেফ। এর মধ্যেই এই ডিভোর্সের ঘোষণা নিশ্চিত করলেন ম্যাককেনজি। এর আগে জানুয়ারি মাসেই এই দম্পতি বিচ্ছেদের কথা দিয়েছিলেন।