পরিবারের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, শুক্রবার সকালে মুম্বাইয়ের বাসায় নিজের বিছানায় ৬৬ বছর বয়সী এ অভিনেতাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন বলে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর খবর।
চার দশক ধরে নানা ধরনের চরিত্রে দাপটের সঙ্গে অভিনয় করে আসা ওমপুরিকে খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছে দিয়েছিল তার ভিলেন চরিত্রের অভিনয়। কেবল ভারতীয় মূল ধারার চলচ্চিত্রে নয়, বিকল্প ধারার সিনেমাতেও তার বলিষ্ঠ অভিনয় দেখেছে ভারতীয় উপমহাদেশের দর্শক। হলিউড ও ব্রিটিশ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেও তিনি খ্যাতি পেয়েছেন। ভারতে পাকিস্তানি শিল্পীদের কাজ করার ওপর নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করে বিতর্কে জড়ানোর পর গতবছর অক্টোবরে অভিনয় ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দেন পদ্মশ্রী পুরস্কার পাওয়া এই চলচ্চিত্র তারকা। হরিয়ানার আমবালায় জন্ম নেওয়া ওমপুরি পুনের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউটের স্কুল অব ড্রামা থেকে ১৯৭৩ সালে ডিগ্রি নেন। সেখানে তার সহপাঠী ছিলেন আরেক জনপ্রিয় অভিনেতা নাসিরউদ্দিন শাহ।
তিন বছর পর মারাঠি চলচ্চিত্র ঘাসিরাম কোতোয়াল দিয়ে পর্দায় অভিষেক হয় ওম পুরির; নাট্যকার বিজয় টেন্ডুলকরের মারাঠি নাটকের ভিত্তিতে নির্মিত হয়েছিল চলচ্চিত্রটি। এরপর আক্রোশ, জানে ভি দো ইয়ারো, অর্ধ সত্য, পার, মাচিস, মিরচ মাসালা, ধারাভির মতো দর্শকপ্রিয় বহু সিনেমা ওম পুরিকে খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছে দেয়।
জনপ্রিয় এ অভিনেতার মৃত্যুতে শোক জানিয়ে টুইট করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
সহঅভিনেতা অনুপম খের, চিত্রনির্মাতা করন জোহর, মাধুর ভাণ্ডারকার ও সুজিত সরকারও অভিনেতা ওম পুরির মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন বলে এনডিটিভি জানিয়েছে।