আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম ম্যাচে পাকিস্তান বাজেভাবে হেরে গিয়েছিল চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের কাছে। সেই দলই এরপর খাদের কিনারা থেকে ঘুরে দাঁড়ায়। টানা ৩ ম্যাচ জিতে জায়গা করে নেয় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে। আর ফাইনালে তো দলটি রীতিমতো কচুকাটা করেছে সেই ভারতকেই। রোববার ওভালে ১৮০ রানের বিশাল ব্যবধানে জিতে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা জয়ের উৎসব করেছে পাকিস্তান। আর এমন সোনায় মোড়ানো সাফল্য অর্জনের কৃতিত্বটা কাউকে আলাদা করে নয়, পুরো দলকেই দিয়েছেন দলটির অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির গ্রুপপর্বে ভারতের বিপক্ষে হারটি বাদ দিলে সব ম্যাচেই দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়েছে পাকিস্তান। ব্যাটিংয়ে নবাগত ফখর জামান আলো ছড়িয়েছেন। ফাইনালে হাঁকিয়েছেন অসাধারণ সেঞ্চুরি। ১১৪ রানের ইনিংসে পেয়েছেন ফাইনালের ম্যাচ সেরার পুরস্কার। বোলিংয়ে তোপ দাগিয়েছেন আরেক তরুণ হাসান আলি। ৫ ম্যাচে ১৩ উইকেট নিয়ে হয়েছেন টুর্নামেন্ট সেরা। সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী তো বটেই। আর চোট কাটিয়ে ফাইনালে ফিরে ভারতের টপ-অর্ডারকে গুঁড়িয়ে দিয়েছেন মোহাম্মদ আমির। একাই রোহিত-কোহলি-শিখরকে সাজঘরে পাঠিয়ে পাকিস্তানের জয়ের পথ তৈরি করে তো তিনিই দিয়েছেন! এই তিন ক্রিকেটারকে নিয়ে গর্বের শেষ নেই পাকিস্তান অধিনায়ক সরফরাজের। তবে শিরোপা জিততে মাঠে এগারোজনকেই তো সেরাটা ঢেলে দিতে হয়েছে। তাই পুরো দলকে অভিনন্দন জানিয়ে ম্যাচশেষে সরফরাজ বলেছেন, ‘ফখর অসাধারণ খেলোয়াড়। দলে ওর প্রভাবটা পড়েছে বেশ। তার প্রথম আইসিসি টুর্নামেন্ট, আর সে খেলেছে চ্যাম্পিয়নের মতো। ভবিষ্যতে সে বড় কিছু হবে। আমাদের বোলাররা খুব ভালো বল করেছে। আমির, হাসান, শাদাব, জুনাইদ সবাই! শিরোপা জেতাটা আমাদের আত্মবিশ্বাসকে আরও বাড়িয়ে তুলবে নিঃসন্দেহে। তবে আমাদের দলটা তরুণ। আর শিরোপা জেতার কৃতিত্বটা দলের সবার।’