মঙ্গলবার রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়। সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। মন্ত্রী বলেন, অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৪৭৪ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ২ হাজার ২ কোটি ৩৫ লাখ এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে ৪৭২ কোটি ৩০ লাখ টাকা জোগান দেওয়া হবে। এই ছয় প্রকল্পের মধ্যে ১ হাজার ২৫৮ কোটি টাকা ব্যয়ে দেশের গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা সদর বা স্থানে ১৫৬টি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন স্থাপনে সংশোধিত প্রকল্প রয়েছে।
মুস্তফা কামাল বলেন, দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও উন্নয়ন মূলত উপজেলা শহরগুলোকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে। ফলে এখানে জনবসতিও দিন দিন বাড়ছে। এসব স্থানের অবকাঠামো ও জনগণের জানমাল বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও অগ্নিকাণ্ড থেকে রক্ষা করার জন্য ফায়ার সার্ভিসের গুরুত্ব অনেক মন্তব্য করে নিরাপদ দেশ গঠনের জন্য প্রধানমন্ত্রী প্রত্যেক উপজেলায় অন্তত একটি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন স্থাপনের ঘোষণা দিয়েছেন বলে জানান পরিকল্পনামন্ত্রী। তিনি বলেন, এ পরিপ্রেক্ষিতে ‘দেশের গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা সদর বা স্থানে ১৫৬টি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন স্থাপন’ প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
“মূল এই প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় আজকের একনেক সভায় সংশোধিত প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।”
সংশোধিত এ প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৫৮ কোটি টাকা।
অনুমোদন পাওয়া অন্য প্রকল্পগুলো হলো সড়ক অবকাঠামো নির্মাণ, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি সংগ্রহ প্রকল্প, যার ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৮৫ কোটি ৮৮ লাখ টাকা।
লাঙ্গলবন্দ মহাষ্টমী পুণ্যস্নান উৎসবের অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প। এর ব্যয় ধরা হয়েছে ১২০ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।
ভোলার মেঘনা নদীর ভাঙন থেকে মনপুরা উপজেলাধীন রাম নেওয়াজ লঞ্চঘাট এলাকা এবং তেঁতুলিয়া নদীর ভাঙন থেকে চরফ্যাশন উপজেলাধীন ঘোষেরহাট লঞ্চঘাট এলাকা রক্ষা প্রকল্প; ব্যয় ধরা হয়েছে ২৮০ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। গাজীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের অ্যাপ্রোচ সড়ক প্রশস্তকরণ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প—এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৭০ কোটি ৩২ লাখ টাকা।
এছাড়া রয়েছে গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলা ভাষা সমৃদ্ধকরণ প্রকল্প, যার ব্যয় ধরা হয়েছে ১৫৯ কোটি ২ লাখ টাকা।